খােলাবাজার২৪,বুধবার,১১আগস্ট,২০২১ঃকরোনাকালে বেসরকারিভাবে বসুন্ধরা গ্রুপের খাদ্য সহায়তা কার্যক্রমকে দেশপ্রেমের অনন্য দৃষ্টান্ত হিসেবে উল্লেখ করেছেন পাবনার আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. তানভীর ইসলাম।
বুধবার (১১ আগস্ট) উপজেলার দুস্থদের জন্য খাদ্যসামগ্রী বিতরণ কার্যক্রমের আয়োজন করে কালের কণ্ঠ শুভসংঘ।সেখানে উপস্থিত হয়ে এ কথা বলেন তিনি।
তানভীর ইসলাম বলেন, সারা দেশে একযোগে প্রত্যেক উপজেলার দুস্থ পরিবারের মাঝে খাবার পৌঁছে দিচ্ছে বসুন্ধরা গ্রুপ। তাঁরা যেমন ব্যবসাক্ষেত্রে প্রথম, তেমন করোনাকালে মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে দৃষ্টান্ত সৃষ্টিতেও প্রথম। আমি তাঁদেরকে ধন্যবাদ ও আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই।’
এ সময় বসুন্ধরা গ্রুপের সহায়তায় ৩০০ অসহায় পরিবারকে ১০ কেজি করে চাল, তিন কেজি ডাল ও তিন কেজি করে আটা দেওয়া হয়।উপজেলার দেবোত্তর কব বন্দে আলী মিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এসব খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন শুভসংঘের সদস্যরা।
খাদ্য সহায়তা পেয়ে আব্দুল গফুর নামের এক বৃদ্ধ বলেন, ‘আল্লা বসুন্ধরা গ্রুপকে তৌফিক দিছে, তিনি আমাকেরে দিচ্ছেন।সবাই তো দিতে পারে না বাবা। আল্লাহ তাঁর হায়াত দেক। আমাকেরে আরো দিবার পারুক। তাঁর বাল-বাচ্চা সুখে থাকুক। তিনি যেন আরো পাঁচজনরে দান করবার পারেন।’
শুভসংঘের সদস্যদের উদ্দেশে খোদেজা বেগম নামের আরেক উপকারভোগী বলেন, ‘তোমরা বাঁচি থাকো। আমরা জানি আবার পাই।তোমরা আবার দিবি আমরা আবার পাব। তোমাকের জন্য দোয়া করব।’
খাদ্যসামগ্রী বিতরণ কার্যক্রমে আরো উপস্থিত ছিলেন ইউএনও মাকসুদা আক্তার মাসু, পৌর মেয়র শহিদুল ইসলাম রতন, কালের কণ্ঠ শুভসংঘের পরিচালক জাকারিয়া জামান, আটঘরিয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি খাইরুল ইসলাম বাসিদ, প্রধান শিক্ষক মাহতাবউদ্দিন, সাংবাদিক জিয়াউল হক রিপন, ৮ নম্বর ওয়ার্ড পৌর কাউন্সিলর মোফাজ্জল হোসেন বাবু, শুভসংঘের কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য মো. ইমরান হোসেন, সদস্য শরীফ মাহ্দী আশরাফ জীবন, পাবনা জেলা শাখার সভাপতি জান্নাতুল ফেরদৌস, সাধারণ সম্পাদক শেখ রাফসান যানী সজিব প্রমুখ।
বৃদ্ধ তাজু ইসলাম। দেহের জীর্ণশীর্ণ গড়ন। এক হাতে ভাঙা ছাতা ধরে রেখেছেন। অন্য হাতে তালপাখা দিয়ে বাতাস করছেন মুখে পরা অনেক দিনের পুরনো একটি মাস্ক। দেখে মনে হয় ধুলোময়লা ছাপিয়ে যেন করোনা প্রবেশের সাধ্য নেই। তার মাস্কটি ফেলে নতুন মাস্ক পরিয়ে দিলেন কালের কণ্ঠ শুভসংঘের বন্ধু স্বর্ণা। হাতে ধরে নিয়ে বসিয়ে দিলেন চেয়ারে। এরপর তাকে তুলে দেওয়া হলো বসুন্ধরা গ্রুপের খাদ্য সহায়তা।
স্বর্ণার এমন আন্তরিকতা দেখে চোখের পানি আটকাতে পারলেন না বৃদ্ধ তাজু। মাথায় হাত বুলিয়ে দোয়া করলেন তাকে। জানালেন কষ্টের কথা।বৃদ্ধ বয়সেও কষ্ট করে খেয়ে না খেয়ে থাকতে হয় তাজুকে। দুই ছেলে থাকলেও তার দেখভাল করেন না। আজ বুধবার বসুন্ধরা গ্রুপের খাদ্য সহায়তা পেয়ে তিনি বলেন, তোমারে বসুন্ধরা গ্রুপযে এত কষ্ট করি সাহায্য করে দেছে তার জন্যি দুয়া করি বাবা। আল্লা তার শরীর-স্বাস্থ্য ভালো রাখুক। পরিবারের বালা-মুসিবত দূর করুক।’
কষ্টে দিনাতিপাত করছেন আরেক উপকারভোগী জহুরা বেগম। তিনিও সহায়সম্বলহীন। এক ছেলে আছে, তবে মানসিক প্রতিবন্ধী।বসুন্ধরা গ্রুপের খাদ্যসামগ্রী পেয়ে তিনি বলেন, আল্লা বসুন্ধরা বেটারের জানমাল ভালো।