Sun. Apr 20th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements


খােলাবাজার২৪, রবিবার,১৫আগস্ট,২০২১ঃ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস-২০২১ উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে রাষ্ট্রায়ত্ব রূপালী ব্যাংক লিমিটেড। রোববার(১৫ আগস্ট) রূপালী ব্যাংক লিমিটেডের চেয়ারম্যান কাজী ছানাউল হক এবং ম্যানেজিং ডিরেক্টর এন্ড সিইও মো. ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদের নেতৃত্বে রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
এর আগে রূপালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান, ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং ডিএমডি ব্যাংকের উর্ধতন নির্বাহীদের নিয়ে দিলকুশাস্থ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে স্থাপিত জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন। পরে এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সারাদেশে ব্যাংকের সকল জোনাল অফিস ও ডিভিশনাল অফিস ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়।
শোক দিবসের আলোচনায় ব্যাংকের চেয়ারম্যান কাজী ছানাউল হক বলেন, বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ পর্যন্ত যুদ্ধ বিধস্ত দেশকে একটি শক্তিশালী ভিত্তির উপর দাড় করিয়েছিলেন। বর্তমানে তাঁরই সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে বিশ্বের কাছে একটি রোল মডেল হিসেবে পরিচয় করিয়েছেন। ২০৪১ সালের আগেই বাংলাদেশ উন্নত দেশে পরিনত হবে বলেও চেয়ারম্যান আশাবাদ ব্যক্ত করেন। বঙ্গবন্ধু অনেক সেক্রিফাইজ করে আমাদের এই দেশ উপহার দিয়েছেন। ৭ই মার্চের ভাষণ যে দেশে আছে সে দেশ কোনদিন পিছিয়ে থাকতে পারেনা বলে তিনি দৃঢ়তার সহিত বলেন । রোববার(১৫ আগস্ট) জাতীয় শোক দিবসে রূপালী ব্যাংক কর্তৃক আয়োজিত ভার্চ্যুয়াল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ব্যাংকের চেয়ারম্যান কাজী ছানাউল হক এ কথা বলেন। “আমি হিমালয় দেখিনি, কিন্তু শেখ মুজিবকে দেখেছি। ব্যক্তিত্ব ও সাহসিকতায় তিনি হিমালয়ের মতো” বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বিশ্ব নেতাদের করা উক্তিগুলোর মধ্যে ফিদেল ক্যাস্ট্রোর বিখ্যাত এই উক্তিকে তিনি সেরা ও যথোপোযুক্ত বলে মনে করেন।
আলোচনায় অংশ নিয়ে রূপালী ব্যাংকের এমডি মো. ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ ই মার্চের ভাষণ “এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম” এর মাধ্যমে সারা দেশবাসীকে যুদ্ধে সম্পৃক্ত করেছিলেন। যারা যুদ্ধ করেছিলেন তাদের মধ্যে ৭৮ ভাগই ছিলেন কৃষকের সন্তান। এই যুদ্ধকে বঙ্গবন্ধু একটি জনযুদ্ধে রূপান্তরিত করেছিলেন। ফলে দেশ মাত্র ৯ মাসেই স্বাধীন হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে এবং বাংলাদেশের আজকের উন্নয়নের পেছনে বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শিতার বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন রূপালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। ডিএমডি খন্দকার আতাউর রহমানও বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের উপর বক্তব্য রাখেন।
এছাড়া জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে মাসব্যাপি কর্মসূচির অংশ হিসেবে পবিত্র কোরআনখানি, মিলাদ মাহফিল, কালো ব্যাচ ধারন এবং এতিম ও দুঃস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়।
এরপর বঙ্গবন্ধুসহ ১৫ আগস্টে নিহতদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের ডিএমডি খন্দকার আতাউর রহমান ও মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর। এছাড়াও জিএম খান ইকবাল হোসেন, সঞ্চিয়া বিনতে আলী, মো. শওকত আলী খান, সালমা বানু , তাহমিনা আখতার, ইয়াছমিন বেগম ও হারুন অর রশিদসহ ব্যাংকের সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয় শ্রমিক লীগের অর্থ সম্পাদক ও রূপালী ব্যাংক সিবিএ সেক্রেটারী মো. মহিউদ্দিনের নেতৃত্বে রূপালী ব্যাংক কর্মচারী ইউনিয়ন (সিবিএ), এক্সিকিউটিভ ফোরাম, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, স্বাধীনতা ব্যাংকার্স পরিষদ এবং বঙ্গবন্ধু প্রৌকশলী পরিষদও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।