Sun. Apr 20th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খােলাবাজার২৪,শনিবার,২১আগস্ট,২০২১ঃ  রাজশাহী জেলার তানোর উপজেলায় ৩০০ অতিদরিদ্র পরিবারের মুখে হাসি ফুটিয়েছে কালের কণ্ঠ শুভসংঘ।বসুন্ধরা গ্রুপের সহায়তায় প্রত্যেক পরিবারকে ১০ কেজি চাল, তিন কেজি ডাল ও তিন কেজি আটা দেওয়া হয়। আজ শনিবার উপজেলার চাঁন্দুড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এই খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন শুভসংঘের সদস্যরা।

খাদ্যসহায়তা পেয়ে আব্দুল ওয়াহাব নামের এক উপকারভোগী বলেন, আমরা ঘরে স্বামী-স্ত্রী থাকি। খ্যাত-খামারত কাম করে খাই। খুব কষ্টে আছি।কোন রকম সংসার চলছে। একটা ছেলে আছে তারই সংসার চলে না আমারেও দিতে পারে না। তোমাদের চাল পেয়ে শান্তি পাইছি। ১৫ দিন খাইতে পারব। আল্লার কাছে বসুন্ধরা মালিকের দীর্ঘজীবন কামনা করি।

জহুরা বেগম নামের এক উপকারভোগী বলেন, আমি একলাই থাকি একলাই খাই। চেয়ারম্যানের বাড়িতে কাম করি। কাম না করলে কেউ দেয় না।তোমরা আইজ দিলা। এইটা দিয়া ২০ দিন চলবে। আল্লা আরো বরকত দিক। আমরা আরো খাইতে পাব।

খাদ্যসামগ্রী বিতরণ কার্যক্রমে উপস্থিত হয়ে চাঁন্দুড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. মজিবুর রহমান বলেন, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ কবর সোবহান সাহেবের সুনাম দেশের সব জায়গায় ছড়িয়ে আছে। সাধারণ মানুষের কর্মসংস্থানের জন্য বিভিন্ন ব্যবসা গড়ে তুলেছেন।করোনাকালীন সময়ে অসহায় মানুষের জন্য খাদ্য সহায়তা দিচ্ছেন। এর জন্যে তাকে মন থেকে দোয়া করি ও কৃতজ্ঞতা জানাই। ভবিষ্যতে যেন তাদের এই সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিতে পারে সেজন্য আপনারা সবাই দোয়া করবেন।

খাদ্যসামগ্রী বিতরণ কার্যক্রমে আরো উপস্থিত ছিলেন কালের কণ্ঠ শুভসংঘের পরিচালক জাকারিয়া জামান, ইউপি সদস্য ফেরদৌসী বেগম, কালের কণ্ঠের নিজস্ব ফটো সাংবাদিক সালাউদ্দিন, এস এ বাপ্পী, আতিকুল ইসলাম কৌশিক, শুভসংঘের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শরীফ মাহ্দী আশরাফ জীবন।

ভিক্ষাবৃত্তি করে জীবন চালান রুমেলা বেগম। বয়স ৭৫ হয়েছে।পঞ্চাশ বছর আগে তাকে ছেড়ে চলে যায় স্বামী ৷ এরপর থেকে এক মানসিক প্রতিবন্ধী ছেলে নিয়ে খেয়ে না খেয়ে বেঁচে আছেন। বসুন্ধরা গ্রুপের খাদ্য সহায়তা পেয়ে রুমেলা বলেন, আমার এক পাগল বেটা ছাড়া কেউ নাই। চাইয়্যা-চিন্তে খাই। ফেতরা চাইয়্যা লই। কেউ দেয় কেউ দেয় না। তা দিয়া কোনরকম খাই। তোমাদের সাহায্য পাইয়্যা ভালো লাগছে। আইজ রোজা আছি মহরমের। তোমাদের জন্য দোয়া করবো।

নাবিয়া খাতুন নামের এক উপকারভোগী বলেন, মাইনষেরতে ভিক্ষা কইরা খাই। আমারে কেউ খাইতে দিলে তার জন্য দোয়া করি।আইজ বসুন্ধরা খাবার দিল, আমার ধনেরা বাইচা থাক। কামে বরকত দেক। কামে বরকত না দিলে তো আমি পামু না।

আজ শনিবার গোদাগাড়ী উপজেলায় তাদের মতো ৩০০ অসহায় ও দুস্থ পরিবারের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছে কালের কণ্ঠ শুভসংঘ।এছাড়া সকলের মাঝে মাস্ক বিতরণ ও করোনা সুরক্ষায় সচেতনামূলক পরামর্শ দেওয়া হয়।

উপজেলার পিরিজপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বসুন্ধরা গ্রুপের সহায়তায় এই খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়।

খাদ্যসামগ্রী বিতরণ কার্যক্রমে উপস্থিত হয়ে মাটিকাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল করিম শিবলী বলেন, করোনার এই প্যানডেমিক সময়ে বসুন্ধরা গ্রুপ মানুষের পাশে হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। আপনাদেরকে খাদ্য সহায়তা দিয়েছে। শুধু তাই নয় তারা পুরো দেশব্যাপী অসহায় মানুষকে খাদ্য সহায়তা দিচ্ছে। আমি দেখেছি তারা রংপুর বিভাগের সব জেলায় ২৪ হাজার পরিবারকে খাদ্যসামগ্রী দিয়েছে। রাজশাহী বিভাগেও ২৪ হাজার পরিবারকে দিচ্ছে। দেশে অনেক বিত্তবান আছে। কিন্তু সবাই সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেয় না। বসুন্ধরা গ্রুপ দিয়েছে। তাই আপনাদের কাছে অনুরোধ বসুন্ধরা গ্রুপের জন্য আপনারা খাস দিলে দোয়া করবেন। তারা যেন আবারো আপনাদের সহায়তা করতে পারে।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন কালের কণ্ঠ শুভসংঘের পরিচালক জাকারিয়া জামান, কালের কণ্ঠের নিজস্ব ফটো সাংবাদিক সালাউদ্দিন, এস এ বাপ্পী, আতিকুল ইসলাম কৌশিক, শুভসংঘের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শরীফ মাহ্দী আশরাফ জীবনসহ গোদাগাড়ীর সেচ্ছাসেবী মনিরুল ইসলাম বকুল, শফিউল ইসলাম মুক্তা