
এআইএইচআরসির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘১৫ আগস্ট থেকেই এআইএইচআরসি অফিস চালিয়ে যাচ্ছে কিন্তু তারা আফগান নাগরিকদের প্রতি দায়িত্ব পুরোপুরি পালন করতে পারছে না। তালেবান বাহিনী এআইএইচআরসির সবগুলো ভবনই দখল করে রেখেছে। তারা এআইএইচআরসির গাড়ি ও কম্পিউটারের মতো সব সম্পদ ব্যবহার করছে।’
মানবাধিকারের বিরুদ্ধে তালেবানরা অব্যাহতভাবে অবজ্ঞা প্রদর্শন করে আসছে। এরমধ্যে মানবাধিকার সমর্থনকারীদের ওপর হামলা এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার মান লঙ্ঘনের মতো ঘটনা উল্লেখযোগ্য। এ অবস্থায় তালেবানরা এআইএইচআরসির নির্দেশনা এবং স্বাধীনতার প্রতি কতোটা শ্রদ্ধা রাখবে তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সংস্থাটি।
এআইএইচআরসির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘এআইআরএইসির স্বাধীনতা এবং তাদের কর্মীসহ আফগানিস্তানের মানবাধিকার সকল সমর্থনকারীদের শ্রদ্ধা করার আহ্বান জানানো হচ্ছে তালেবানদের।
এদিকে জাতিসংঘের হাই কমিশনার ফর রিফিউজি ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি জানিয়েছেন, আফগানিস্তানে মানবিক পরিস্থিতির বেশ অবনতি ঘটেছে। তিনি দেশটিতে জরুরি সহায়তা প্রদানের আহ্বান জানিয়েছেন। গত শুক্রবার ইসলামাবাদে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি আফগানিস্তানে ভেঙেপড়া মানবিক পরিস্থিতির বর্ণনা দেন। গ্র্যান্ডি জোর দিয়ে বলেন, দেশটিতে খাদ্য, ওষুধ, আশ্রয় এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসের খুবই প্রয়োজন হয়ে পড়েছে।
চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে আফগানিস্তানে ইউএন অ্যাসিসটেন্ট মিশনের কার্যক্রম হালনাগাদ করে একটি রেজুলেশন সর্বসম্মতিক্রমে পাস হয়। সেখানে সাধারণ জীবনধারায় নারীদের ‘সমান ও অর্থবোধক অংশগ্রহণের’ ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। এছাড়াও রেজ্যুলেশনটিতে ‘একটি অন্তর্ভুক্তি এবং প্রতিনিধিত্বমূলক সরকার গঠনের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়।’ পাশাপাশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে ‘মানবাধিকার, নারী, শিশু এবং সংখ্যালঘুদের অধিকারের ওপরও।
সূত্র : এএনআই