খোলাবাজার২৪, বৃহস্পিতবার, ৩০সেপ্টেম্বর,২০২১ঃ নাহার আকতার,মোরেলগঞ্জ (বাগেরহাট ): বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার জিউধরা ইউনিয়নে একটি ইটসোলিং রাস্তায় খানা খন্দ ও ভেঙ্গে ৬ গ্রামের শিক্ষার্থী সহ জনসাধারণ চরম দুর্ভোগে পড়েছে। বিশেষ করে বৃষ্টির সময় এ দুর্ভোগ আরো চরম আকার ধারণ করে।
জানা গেছে, অত্র ইউনিয়নের সেরজন স্মৃতি মাধ্যমিক বিদ্যালয় হয়ে লক্ষিখালী গোপালচাঁদ সাধু ঠাকুরের বাজার পর্যন্ত পৌনে ৬ কিলোমিটারে ইটসোলিং রাস্তা রয়েছে। রাস্তাটি ভেঙ্গে বিভিন্নস্থানে খানা খন্দে পরিনত হয়েছে। প্রতিনিয়ত চলাচলে ঘটছে দুর্ঘটনা। সীমান্তবর্তী নিশানবাড়িয়া ইউনিয়ন, মোংলার সুন্দরবন ইউনিয়নসহ ৩ টি ইউনিয়নের একমাত্র যোগাযোগের মাধ্যম এ জনগুরুত্বপূর্ন রাস্তাটি। এ ইট সোলিং রাস্তাটি ২০০৩ সালে নির্মিত হলেও পরবর্তীতে এখনো কোন সংস্কার হয়নি। প্রতিবছরই খালের অতিরিক্ত জোয়ারের পানির কারনে ভেঙ্গে যাচ্ছে । বর্ষা মৌসুমে শুধু নয়, শুকনা মৌসুমেও এ রাস্তাটি থেকে চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে শিক্ষার্থীসহ হাজার হাজার মানুষের। এ রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন সেরজন স্মৃতি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, লক্ষিখালী গোপালচাঁদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, দক্ষিণ বাংলা কলেজ, শিশু শিক্ষার্থীসহ ৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৫টি মসজিদের মুসল্লিগন চলাচল করে। এ ছাড়াও লক্ষিখালী, বাইনতলা ও জিউধরা বাজারে সপ্তাহে দুইদিন হাট বসলেও স্থানীয়রা ভ্যান-মোটরসাইকেল যোগে চলাচল করতে পারছেননা।
জিউধরা গ্রামের কৃষক হাবিবুর রহমান খান, সিদ্দিকুর রহমান, দিনমজুর কুদ্দুস হাওলাদার, সেরজন স্মৃতি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেনীর শিক্ষার্থী শাহিন তালুকদার, ৯ম শ্রেনীর রবিউল হাওলাদার, জহিরুল ইসলাম আকন সহ একাধিকরা জানান, শুকনা মৌসুমে এ রাস্তা থেকে কোনমতে পায়ে হেটে চলাচল করতে পারলেও। সামান্য বৃষ্টিতে চলাচলের আর সুযোগ থাকেনা ।
ইউপি সদস্য মো. আব্দুল হাকিম মৃধা বলেন, ১৫ বছর পূর্বে রাস্তাটি নির্মিত হওয়ার পরে কখনও আর সংস্কার হয়নি। চলাচলের প্রতিনিয়ত দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে গ্রামবাসীকে। তবে, স্থানীয় সংসদ সদস্য ও এলজিডি দপ্তরে আবেদন করা হয়েছে।
ইউপি চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর আলম বাদশা বলেন, জনগুরুত্বপূর্ন এ ইটসোলিং রাস্তাটি পুর্ন নির্মানের জন্য এলজিডি দপ্তরসহ এলজিএসপি কর্মকর্তাকে একাধিকবার অবহিত করা হয়েছে।