
খোলাবাজার২৪,বৃহস্পতিবার,০৭অক্টোবর ২০২১: আব্দুল আউয়াল, বানারীপাড়া প্রতিনিধি: বরিশালের বানারীপাড়ায় একাডেমিক স্বীকৃতি পেলেও ২৬ বছরে এমপিও ভূক্ত হয়নি শের ই বাংলা নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়। ফলে শিক্ষক- কর্মচারীরা অনাহারে/ অর্ধহারে দিন কাটাচ্ছেন। এমপিও ভূক্তির জন্য ধর্ণা দিতে দিতে ক্লান্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ। বানারীপাড়া উপজেলার চাখার ইউনিয়নের বড় ভৈৎসর থেকে পার্শবতী চাখার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দুরত্ব প্রায় ৪ কিলোমিটার। এলাকার ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের দুর্ভোগ লাঘবের জন্য নিজের ৩ একর ভূমির ওপরে এলাকাবাসীদের নিয়ে ১৯৯৫ সালে অভিবক্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী শের এ বাংলা এ কে ফজলুল হকের নামানুসারে ওই নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি গড়ে তোলেন এলাকার মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল হক। পরে ১৯৯৭ সালে বিদ্যালয়টিতে পাঠ দানের এবং ২০০৪ সালে একাডেমিক স্বীকৃতি পায়। ওইসময় ৮ জন শিক্ষক ও ২ জন চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারী নিয়ে বিদ্যালয়টি চালু করা হয়। বিদ্যালয়টিতে দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে। করোনার কারনে অনেক শিক্ষার্থী লেখা পড়া ছেড়ে অন্য কাজে যুক্ত হয়েছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. নাসির উদ্দিন বলেন ২৬ টি বছর ধরে শিক্ষকরা খেয়ে না খেয়ে বিদ্যালয়ের দায়ীত্ব যথাযথ ভাবে পালন করছেন। বিদ্যালয়ে ৮ জন শিক্ষক দুই জন প্রতিদিন উপস্থিত হতে পারেন না কারন তাদেরকে ঠিক ভাবে যাতায়াতের টাকাও দিতে পারিনা। ৬ জনের মধ্যে একজন এনটিআরসির শিক্ষক রয়েছেন। এছাড়া ২ জন চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারী। করোনার পূর্ব পর্যন্ত প্রতিবছর এ বিদ্যালয় থেকে অষ্টম শ্রেনীর সমাপনী পরীক্ষায় ২০ থেতে ৩০ জন পর্যন্ত অংশ নিয়েছে। এবছরও ৮ম শ্রেনীতে ৩০ জনের নিবন্ধন করানো হয়েছে। বিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিষদের সভাপতি প্রতিষ্ঠাতার ছেলে প্রকৌশলী জিয়াউল হক অপু বলেন, ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে তার বাবা বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। পিতা মারা যাওয়ার পর থেকে আমরা বিদ্যালয়ের হাল ধরি। ৮ জন শিক্ষক ২ জন কর্মচারীর বেতন, বিদ্যালয়ের আনুসাংগিক খরচ বহন করতে গিয়ে সকলেই হাপিয়ে ওঠেছেন। এ অবস্থায় সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে বিদ্যালয়টিকে এমপিও ভূক্ত করার জন্য দাবী জানান। এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোস্তফা আলম বলেন ইতোমধ্যে উপজেলা একাডেমিক সুপার ভাইজার জয়শ্রী কর ও তিনি বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করেছেন এবং বিদ্যালয়টি এমপিও ভুক্তির জন্য তারা চেষ্টা চালাচ্ছেন। চাখার ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ মজিবুল হক টুকু জানান, বিদ্যালয়ের কার্য পরিচালনার জন্য তার পক্ষ থেকে সর্বদা সহযোগীতা অব্যাহত থাকবে। তিনি আরো বলেন বড় ভৈৎসর বিদ্যালয়টি এমপিও ভুক্ত হলে এই এলাকার শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে অনেক বড় উপকার হবে।আর আমি ও চাই বিদ্যালয়টি এমপিও ভুক্ত হোক ।