Sun. Jun 8th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খোলাবাজার২৪, সোমবার,০৩জানুয়ারি,২০২২ঃ নদীর ধারে ছাপরা টিনের বাড়ি। জাড়ে রাতে ঠিকমতো ঘুমাতেও পারতেছিনু ন্যা। এখন মা-বিটি আরামে ঘুমাতে পারবো।বসুন্ধরার কম্বলডা জাড়ের হাদ থ্যাকি বাঁচালো। এতোদিন আমাদের দিকে কেউ তাকাইনি। আজ একটা কম্বল পায়েছি, এখন আর শীতে কষ্ট হবে না।

রবিবার সকালে বসুন্ধরা গ্রুপের উদ্যোগে ও কালের কণ্ঠ শুভসংঘের আয়োজনে শীতার্ত মানুষের মাঝে বিতরণকৃত কম্বল পেয়ে এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন বৃদ্ধা সেফালি বেওয়া। তার বাড়ি গোদাগাড়ী উপজেলার পিরিজপুর নদীর পাড় এলাকায়।শুধু সেফালি বেওয়াই নয়, সকালে বসুন্ধরার কম্বল পেয়েছেন এরকম অসহায় ৫০০ শীতার্ত মানুষ। যাদের সকলেই উত্তরের হিমেল বাতাসের সঙ্গে গত দুদিন ধরে বয়ে যাওয়া মৃদু শৈতপ্রবাহের কবলে শীতে প্রচণ্ড দুর্ভোগে পড়েছিলেন।প্রায় নব্বই বছর বয়স্ক রহিমা বেগম নামের এক বৃদ্ধা বলছিলেন, যা জাড় পড়িছে, তার কারণে অনেক কষ্টে আছুন। ঘরে পঙ্গু স্বামী। সেও জাড়ে কাঁপে। এখন এই কম্বলডা আমাদের বাঁচাবে।

কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় স্কুলের প্রধানশিক্ষক সাবিয়ার রহমান, শুভসংঘের পরিচালক জাকারিয়া জামান, সমাজসেবক শফিল ইসলাম মুক্তাসহ সাংবাদিক ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার পুলতাডাঙ্গা গ্রামের দিনমজুর ওয়াজ উদ্দীন বসুন্ধরা গ্রুপের কম্বল পেয়ে খুশি। তিনি বলেন,’প্রচণ্ড শীতে কাজে বের হতে খুব কষ্ট হয়। এই কম্বল গায়ে দিয়েই ভোরে কাজে বের হব।’ রবিবার সকাল ১১টায় হরিণাকুণ্ডু জেলা পরিষদ অডিরিয়ামে কালের কণ্ঠ শুভসংঘের আয়োজনে ৩০০ দরিদ্র মানুষের মাঝে কম্বল তুলে দেন হরিণাকুণ্ডু উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসাইন ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দা নাফিস সুলতানা।

নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলায় দুই শতাধিক শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ করেছে কালের কণ্ঠ শুভসংঘ জেলা পরিষদের ডাকবাংলো চত্বরে বসুন্ধরা গ্রুপের অর্থায়নে রবিবার দুপুরে এ কম্বল বিতরণ করা হয়। লোহাগড়া পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব সৈয়দ মসিয়ূর রহমান প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে এ কম্বল বিতরণ করেন।