Sun. Jun 8th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খোলাবাজার২৪,শনিবার,০৮জানুয়ারি,২০২২ঃ প্রকৌশলীদের ঝুঁলে থাকা অর্গানোগ্রাম শিগগির ছাড় করার ব্যাপারে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো.আবদুস সবুর।তিনি বলেন, এটি এখন সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ে চুড়ান্ত অনুমতির অপেক্ষায় রয়েছে। আমাদের আশা সংস্থাপন, অর্থ মন্ত্রণালয় এবং প্রধানমন্ত্রীর অনুমতিসহ আগামী এক বছরের মধ্যে এই অর্গানোগ্রাম চুড়ান্ত হবে। শনিবার সড়ক ও জনপথ প্রকৌশলী সমিতির ৩১ তম বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে তিনি এইসব কথা বলেন। রাজধানীর তেজগাঁওয়ে সড়ক ভবন অডিটরিয়ামে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সংগঠনের সভাপতি ও সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী একেএম মনিরুল হাসান পাঠানের সভাপতিত্বে বার্ষিক প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী অমিত কুমার চক্রবর্তী।

প্রধান প্রকৌশলী মো.আবদুস সবুর বলেন, প্রকৌশলীরা সরকারের উন্নয়নের বড় অংশীদার হলেও তারা পেশাগত উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় তাদের গুরুত্ব দেওয়া হয় না। তিনি বলে দীর্ঘদিন পরেও প্রকৌশলীদের পদসোপানের উন্নয়ন হয়নি।অথচ টেকসই উন্নয়নের জন্য এটা খুব জরুরী । সভায় প্রকৌশলীদের উন্নয়নে কাজ করা আশ্বাস দিয়ে তিনি বলেন, সড়ক ভবনের আভ্যন্তরীন উন্নয়নে কাজ করা হচেছ। ডে-কেয়ার সেন্টারের গুরুত্ব দেওয়া  হয়েছে। এই প্রক্রিয়া ধরে রাখতে হবে। হাতিরঝিলের জমি সড়ক অধিদপ্তরের আওতায় নিয়ে আসা প্রায় চুড়ান্ত। এখানে একটি দৃষ্টিনন্দন ফটক করা হবে। এ ছাড়া এ মাসের মধ্যেই নির্বাহী কমিটি সম্মেলন ডাকা হবে বলে জানান তিনি।

মুক্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে বার্ষিক সাধারণ সভায় সমিতির সদস্যরা বলেন, তাদের অর্গানোগ্রাম, নিয়োগ নীতিমালা সংশোধন, নারী প্রকৌশলীদের সন্তানদের জন্য ডে-কেয়ার সেন্টার এবং নির্বাহী প্রকৌশলীদের সম্মেলন করার ব্যাপারে আরও গুরুত্ব দেওয়া জন্য নেতাদের প্রতি আহবান জানান তরা।

অনুষ্ঠানের গোল্ডেন স্পন্সর বসুন্ধরা বিটুমিনের প্রকল্প প্রধান নাফিজ ইমতিয়াজ আলম বলেন, দেশের টেকসই উন্নয়নে ভুমিকা রাখছে বসুন্ধরা বিটুমিন। তারই ধারাবাহিকতা রক্ষায় করোনা মহামারির নানা প্রতিকুলতার মধ্যেও বসুন্ধরা বিটুমিনের উৎপাদন প্রক্রিয়া চলমান ছিল।তিনি বলেন, উৎপাদন প্রক্রিয়া আরো ভালোভাবে অব্যাহত রাখার জন্য ভালোমানের পণ্য উৎপাদনের জন্য আমাদের গবেষণা সক্ষমতা রয়েছে। এ জন্য দেশের প্রথমসারির বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিশিয়ানার সম্পৃক্ত। একইসঙ্গে আপনাদের সঙ্গে মেলবন্ধন তৈরী করা গেলে এই উদ্যোগ আরও সমৃদ্ধ হবে। এতে দেশের টেকসই উন্নয়নে বড় ভূমিকা রাখবেন। এ ছাড়া দেশের সম্পদ দেশে রাখা এবং নিজেদের পণ্যকে উৎসাহিত করা যাবে।

সভাপতির বক্তব্যে একেএম মনিরুল হাসান পাঠান বলেন, প্রকৌশলীদের উন্নয়নে সমিতি নিয়মিত কাজ করে যাচেছ। নানা সীমাবদ্ধতার পরও করোনায় এই সময় অনেক কাজ হয়েছে। বিশেষ করে এই সময় নিজেদের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়ন হয়েছে আগের যে কোন সময়ের চেয়ে। প্রকৌশলীদের পেশাগত উন্নয়নে সব ধরনের উদ্যেগ নেওয়া হবে। এই প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে। এ ছাড়া তিনি প্রকৌশলীদের পদসোপান উন্নয়নে আদালতের রায় বাস্তবায়ন করার আহবান জানান সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্কে ।

বার্ষিক সাধারণ সভা সফল করতে পৃষ্ঠপোষক ও মাঠ পর্যায়ে কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, অনুষ্ঠানে প্রায় দুইশ প্রকৌশলী উপস্থিত ছিলেন ।

সভায় গত একবছরের বার্ষিক প্রতিবেদন পাশ করেন সমিতির সাধারণ সদস্যরা প্রকৌশলীদের জন্য দিনব্যাপি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।