খোলাবাজার২৪, মঙ্গলবার, ২২ই মার্চ, ২০২২ঃ খেলাফত হোসেন খসরু,পিরোজপুর প্স্বরতিনিধিঃ রূপকাঠিতে এমভি ওয়াকতারিব (মেরিন নং ২৫১১৭) নামের একটি চোরাই কার্গোজাহাজ কেটে লোহা বিক্রি করা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। মাগুরা গ্রামের অরবিচ ডক ইয়ার্ডের সামনে থেকে স্থানীয়দের সহায়তায় জাহাজের মালিক পক্ষ এটি উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। মালিক পক্ষের উপস্থিতি টের পেয়ে চোর চক্রের হোতা যশোরের নওয়াপাড়া এলাকার মাস্টার ইমরান হোসাইন ও তার সহযোগি মাস্টার মেহেদী হাসান পালিয়ে যায়। তবে বহাল দাপটের সাথে আছে চোরাই জাহাজের লোহা লক্করের ক্রেতা ভাঙ্গারী ব্যবসায়ী রুবেল মিয়া। এ ঘটনায় জাহাজের মালিক আশিকুর রহমান ও সরোয়ার হোসেন বাদী হয়ে যশোরের নওয়াপাড়া বন্দরের হাবিবুর রহমানের পুত্র মাস্টার ইমরানসহ ৪জনকে আসামীকরে ২২ মার্চ রাতে নেছারাবাদ থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। উদ্ধার হওয়া এমভি ওয়াকতারিব জাহাজের মালিক ঢাকার দোহার উপজেলার শিমুলিয়া গ্রামের অশিকুর রহমান জানান তাদের জাহাজটি যশোরের নওয়া পাড়া বন্দরের মেসার্স সায়েদ এন্টার প্রাইজের মালিক মাস্টার ইমরান হোসাইন ভাড়ায় নিয়ে চালাচ্ছিলেন। ৭ মাস আগে থেকে জাহাজ ভাড়ায় নেয়ার পরে গত ৩ মাস ভাড়া পরিশোধ করেননি। এ সময় একটি ভুয়া চেক দিয়ে ভাড়ার টাকা পরিশোধে টালবাহানা করতে থাকেন।
গত ২০ মার্চ স্বরূপকাঠির নৌযান শ্রমিক নেতা জাকির হোসেনের কাছ থেকে একটি জাহাজ কেটে বিক্রি করার খবর পেয়ে অংশীদার সরোয়ার হোসেনকে নিয়ে তিনি ঘটনাস্থলে এসে নিজেদের জাহাজ শনাক্ত করেন। ইতোমধ্যে চোরেরা ওই জাহাজের ভিতরের অনেক লোহালক্কর ওয়েল্ডিং মেশিন দিয়ে কেটে সরিয়ে প্রায় ৪০ লাখ টাকার ক্ষতি সাধন করেছে। চোরাই লোহা লক্করের ক্রেতা ভাঙ্গারী ব্যবসায়ী রুবেল বলেন, জাহাজের মালিক পরিচয় দিয়ে মাস্টার ইমরান হোসেন প্রতি কেজি লোহা ৫২ টাকা দরে বিক্রি করার জন্য তার সাথে স্ট্যাম্পে চুক্তি করেছেন। এ বিষয় মাস্টার ইমরানের সাথে কথা বললে তিনি নিজেও ওই জাহাজের মালিক বলে দাবী করেন। ইমরান এর দাবী তিনি নয় মাস আগে গোপালগঞ্জের হাসান শেখের কাছ থেকে জাহাজটি কিনেছেন। উদ্ধার হওয়া জাহাজের বিষয় নেছারাবাদ (স্বরূপকাঠি) থানার ওসি আবির মোহাম্মদ হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এমভি ওয়াকতারিব এম-২৫১১৭ এর মালিক দাবীদার দোহারের সরোয়ার হোসেন ও আশিকুর রহমানের একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তারা জাহাজের রেজিষ্ট্রেশনসহ কাগজপত্র দাখিল করেছেন। অপর পক্ষ নওয়াপাড়ার ইমরান হোসেনকেও কাগজপত্র জমা দেওয়ার জন্য বলেছি। তিনিও কাগজপত্র আনতে গেছেন। জাহাজ আপাতত যেখানে যে অবস্থায় আছে সে ভাবে থাকবে। কাগজপত্র যাচাই করে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।