Fri. Apr 18th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খোলাবাজার২৪, বুধবার, ২৫ মে, ২০২২ঃ আগামী শুক্রবার, ২৭মে ময়মনসিংহের কৃতি সন্তান ভাষাসৈনিক এম শামছুল হকের ১৭তম মৃত্যুবার্ষিকী। ২০০৫ সালের ২৭ মে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে ভাষা সৈনিক এম শামছুল হক পরলোক গমন করেন।

এম শামছুল হক ১৯৩০ সালের ২৯শে জানুয়ারি ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার কামারিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা অ্যাডভোকেট সমীর উদ্দিন ছিলেন একজন নামকরা আইনজীবী। ভাষা সৈনিক এম শামছুল হক ৬৬র ছয় দফা,  ৫২র ভাষা আন্দোলন, ৫৪র যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন এবং ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণসহ তৎকালীন সকল রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। তিনি ১৯৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭৩ সালের প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে তৎকালীন ময়মনসিংহ-১৫ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৮৬ সালের তৃতীয়, ১৯৯১ সালের পঞ্চম ও ১৯৯৬ সালের ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে ময়মনসিংহ-২ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৮৮ সালে তিনি ফুলপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৯৬ সালে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ছিলেন। ভাষা আন্দোলনে অসামান্য অবদানের জন্য ২০২১ সালে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার তাকে মরনোত্তর একুশে পদকে ভূষিত করেন।

তার স্ত্রী আম্বিয়া খানম একজন গৃহিনী। এম শামছুল হকে বর্নাঢ্য রাজনৈতিক জীবনে তিনি ছিলেন নিরন্তর অনুপ্রেরণার উৎস। ব্যক্তিগত জীবনে এম শামছুল হক তিন পুত্র ও তিন কন্যা সন্তানের গর্বিত পিতা। তার পুত্র শরীফ আহমেদ ময়মনসিংহ-২ (তারাকান্দা-ফুলপুর) সংসদীয় আসন থেকে ২০১৪ সালের দশম ও ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। ২০১৮ সালের মন্ত্রীসভায় শরীফ আহমেদ সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পান। বর্তমানে তিনি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে তিনি ২০১৩ সালে তারাকান্দা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হিসাবে নির্বাচিত হন। তিনি দশম জাতীয় সংসদের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

এম শামসুল হকের কন্যা শামসিয়ারা ইয়াসমিন, নাজনীন  আহমেদ এবং অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী তুহিন আহমেদ পেশায় গৃহিণী। তার দ্বিতীয় সন্তান (পুত্র) সাঈদ আহমেদ ময়মনসিংহ শহরের একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী ছিলেন। ২০০৪ সালে তিনি হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান। শামসুল হকের কনিষ্ঠ পুত্র সাজ্জাদ আহমেদ তারাকান্দা উপজেলার বঙ্গবন্ধু সরকারি ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

তারাকান্দা উপজেলার বঙ্গবন্ধু সরকারি ডিগ্রী কলেজ প্রাঙ্গনে চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন ভাষাসৈনিক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা এম শামছুল হক।