Fri. Apr 11th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

সিলেটের বন্যা পরিস্থিতি আগামী দুই থেকে তিন দিন আরও অবনতি হতে পারে বলে জানিয়েছেন বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া।

খোলাবাজার২৪, শনিবার, ১৮ জুন, ২০২২ঃ সিলেট-ভোলাগঞ্জ মহাসড়ক উপচে তীব্র বেগে  ঢুকছে পানি। উজানি ঢলে একের পর এক তলিয়ে যাচ্ছে সিলেটের বিভিন্ন উপজেলা। গ্রাম ছেড়ে লোকজন আশ্রয়ের খোঁজে ছুটছে। গবাদিপশুর জায়গা হয়েছে মহাসড়কে। বানভাসি মানুষের ভোগান্তি এখন চরমে।

দেশের অভ্যন্তরীণ ভারি বর্ষণের কারণে গত কয়েকিদন ধরে বিভিন্ন অঞ্চলে বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। বর্ষা মৌসুমে ভারি বৃষ্টির কারণে এর আগেও এমন বন্যা তৈরি হয়েছিল। গত এক মাসে পরপর ভারি বৃষ্টির কারণে এ বন্যার সৃষ্টি হয়েছে।
আসাম, মেঘালয়, পশ্চিমবঙ্গেও গত কয়েকদিন ধরে ভারি বৃষ্টি হচ্ছে। ফলে দেশের উত্তরাঞ্চলের প্রধান নদী তিস্তা, ধরলা, কুশিয়ারা এই নদীগুলোর পানি বৃদ্ধি পেয়ে উপকূলীয় অঞ্চলগুলোতে বন্যার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া জানিয়েছেন, বাংলাদেশে এই মুহূর্তে ১৩টি পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বিশেষ করে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সিলেট ও সুনামগঞ্জের নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হচ্ছে। এ অঞ্চলগুলোতে বাড়ি-ঘর, রাস্তা-ঘাট পানিতে তলিয়ে গেছে। যার ফলে মানুষের সাধারণ জীবন-যাপন ব্যাহত হচ্ছে।
তিনি বলেন, উজানে এখনো ভারি বর্ষণ অব্যাহত আছে। বিশেষ করে উজানের মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জিতে অত্যাধিক ভারি বর্ষণের রেকর্ড করা হয়েছে। এ বৃষ্টির পানি সিলেট এবং সুনামগঞ্জের ওপর দিয়ে দ্রুত নেমে আসায় সেখানে এ বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। এ পরিস্থিতির অবস্থা আগামী দুই থেকে তিন দিন আরও খারাপ হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে এটি বেশি দিন দীর্ঘায়িত হবে না। এ বন্যার স্থায়িত্ব সাত থেকে দশ দিন হতে পারে।