Tue. Jun 3rd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

অনলাইন ডেস্ক  ঢাকা, ৪ মাঘ ১৮ জানুয়ারিঃ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজউল করিম বলেছেন, বাংলাদেশের প্রাণিসম্পদ খাতে একটা বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। দেশে প্রাণিসম্পদের উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়ে রপ্তানির পর্যায়ে পৌঁছেছে। একটা সময় কোরবানির জন্য ভারত-মিয়ানমারের দিকে তাকিয়ে থাকতে হতো। এখন আমাদের প্রাণিসম্পদের উৎপাদন এত বেড়েছে যে আমরা বিদেশে রপ্তানি করার পর্যায়ে পৌঁছে গেছি।

 মন্ত্রী আজ রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় জার্নালিস্ট ফেলোশিপ প্রোগ্রামের সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ সব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, যারা প্রাণিসম্পদের খামার করছেন তারা নিজেদের উদ্যোক্তা হিসেবে তৈরি করছেন। ফলে এখাত কর্মসংস্থান সৃষ্টি করছে। প্রাণিজ আমিষের চাহিদার বড় অংশ পূরণ হয় দুধ, ডিম ও মাংস থেকে। পাশাপাশি এ খাত গ্রামীণ অর্থনীতি সচল করছে। প্রাণিসম্পদ খাত থেকে উৎপাদিত সামগ্রী দেশের উন্নয়নে যেমন ভূমিকা রাখছে, তেমনি মানুষের কল্যাণে, খাদ্যের চাহিদা মেটাতে ও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনেও বড় ভূমিকা রাখছে।

শ ম রেজাউল করিম আরো বলেন, গণমাধ্যমের সহযোগিতা প্রাণিসম্পদ খাত সমৃদ্ধ করার ক্ষেত্রে অনেক সুযোগ করে দিচ্ছে। তবে কখনও কখনও স্বার্থান্বেষী মহল ভুলতথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশে সক্ষম হয়। এতে জাতীয় প্রতিষ্ঠান বা সেখানে যারা ভালো কাজ করেন তাদের ব্যাপারে নেতিবাচক ধারণা তৈরি হয় এবং উক্ত প্রতিষ্ঠানে কর্মরতরা উৎসাহ হারিয়ে ফেলে। মন্ত্রী বলেন, তথ্যের অবাধ প্রবাহের যুগে এ খাতের উন্নয়নে আমরা সম্মিলিতভাবে কাজ করতে চাই।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মোঃ এমদাদুল হক তালুকদারের সভাপতিত্বে ও পরিপ্রেক্ষিতের নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ বোরহান কবীরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক মোঃ আব্দুর রহিম, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল, গ্লোবাল টেলিভিশনের সিইও সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা এবং প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের প্রধান কারিগরি সমন্বয়ক ড. গোলাম রব্বানী। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এবং ফেলো সাংবাদিকগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ইলেকট্রনিক, প্রিন্ট ও অনলাইন মিডিয়ার মোট ২০ জন সাংবাদিককে ফেলোশিপ প্রদান করা হয়। সমাপনী অনুষ্ঠানে ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সেরা ৩ জন, অনলাইন মিডিয়ার সেরা ৩ জন এবং প্রিন্ট মিডিয়ার সেরা ৫ জন ফেলো সাংবাদিককে পুরস্কৃত করা হয়।