Sun. Apr 20th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

২৬ ফেব্রুয়ারি, খোলা বাজার অনলাইন ডেস্কঃ প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী সারাদেশে উদ্যোক্তা ছড়িয়ে দিচ্ছে  বলে মন্তব্য করেছেন জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

আজ রবিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র সংলগ্ন পুরাতন বাণিজ্য মেলা মাঠে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী ২০২৩ এর অংশ হিসাবে ঢাকায় আয়োজিত দুই দিনব্যাপী প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনীর সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।

এ সময় মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় বর্তমান সরকার সরকারি-বেসরকারি সম্মিলিত উদ্যোগে  প্রাণিসম্পদ খাতকে আরও বেশি বিকশিত করতে সহায়তা করবে। বাংলাদেশের প্রাণিসম্পদ খাতকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী আয়োজন করা হয়েছে। এবারের প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনীতে অনেক বেসরকারি উদ্যোক্তারা সম্পৃক্ত হয়েছেন। সরকারি-বেসরকারি যৌথ উদ্যোগে দৃষ্টিনন্দন, কার্যকর ও ফলপ্রসূ প্রাণিমেলা আয়োজন সম্ভব হয়েছে। এ প্রদর্শনীর মাধ্যমে সারাদেশে উদ্যোক্তা ছড়িয়ে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে। তাদের অনুপ্রাণিত করা সম্ভব হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, দেশের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছেন। তাই এ খাতকে তিনি সব সময় পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে থাকেন। এ জন্য শিক্ষিতরা এখন খামারি হচ্ছেন, বিদেশ থেকে উচ্চশিক্ষা নিয়ে এসে খামার স্থাপন করছেন। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রি নিয়ে চাকরির পেছনে সময় নষ্ট না করে বিভিন্ন রকম প্রাণী উৎপাদন ও বিপণন করে নিজে যেমন উদ্যোক্তা হচ্ছেন তেমনি অপরের মাঝে ছড়িয়ে দিচ্ছেন।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চান গতানুগতিকতার বাইরে এসে সৃজনশীলতার মধ্য থেকে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। প্রাণিসম্পদ খাতে সৃজনশীলতার অংশ হিসাবে গতানুগতিকার বাইরে কাজ করছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।  হাসপাতালে সব প্রাণীকে নেয়া সম্ভব হয় না। এজন্য প্রাণীর কাছে হাসপাতাল নিয়ে যেতে আমরা মোবাইল ভেটেরিনারি ক্লিনিকের ব্যবস্থা করেছি।

তিনি আরো বলেন, করোনাকালে প্রাণিসম্পদ খাতের উৎপাদকরা বিপন্ন অবস্থায় ছিল। সরকার বিশেষভাবে পরিবহন ও বিপণনের ব্যবস্থা করেছে। ভোক্তাদের দোরগোড়ায় মাছ, মাংস,দুধ ডিম পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। মাছ, মাংস, দুধ, ডিম উৎপাদন ও বিপণন কোনভাবে যাতে বিঘ্নিত না হয়, সে ব্যবস্থা করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনার আলোকে। করোনার সময় ও গত রমজানে ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কেন্দ্র করে মানুষের দ্বারে দ্বারে তার ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে মাছ, মাংস, দুধ ও ডিম পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।

শ ম রেজাউল করিম আরো জানান, প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প থেকে একেবারে প্রান্তিক পর্যায়ের প্রাণিসম্পদ খামারিদের নিয়ে প্রডিউসার গ্রুপ তৈরি করা হচ্ছে। যারা উৎপাদক তাদের বিভিন্ন গ্রুপে প্রশিক্ষণসহ অন্যান্য সহায়তা করা হচ্ছে, যাতে তারা একসময় স্বাবলম্বী হতে পারে, উদ্যেক্তা হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হতে পারে। শুধু প্রশিক্ষণই নয় বরং খামারিদের বিভিন্ন প্রযুক্তিগত সহায়তা ও সামগ্রী প্রদান করা হচ্ছে, যাতে তারা স্বনির্ভর ও সক্ষম হতে পারে।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. এমদাদুল হক তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি উপাধ্যক্ষ ড. মো.আব্দুস শহীদ, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশীদ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ টি এম মোস্তফা কামাল। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য প্রদান করেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন ও বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়শনের সভাপতি মোহাম্মদ ইমরান হোসেন, বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিলের জ্যেষ্ঠ সদস্য মাহবুব হাসান প্রমুখ।

সমাপনী অনুষ্ঠান শেষে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনীতে অংশ নেয়া  নির্বাচিত সেরা উদ্যেক্তা ও খামারিদের বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পুরস্কার প্রদান করা হয়।