Thu. Feb 6th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements


১৪ মার্চ, খোলা বাজার অনলাইন ডেস্কঃ ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরে ১৯৯৩ সাল থেকে সাঁট মুদ্রাক্ষরিক পদে চাকুরি করছেন মো. সহিদুল ইসলাম খান। দীর্ঘ ২২ বছর চাকুরি করার পর এই ব্যক্তিকে ২০১৫ সালে সাঁট লিপিকার কাম কম্পিউটার অপারেটরের শূন্য পদে ফের নিয়োগ দিয়েছে সংস্থাটি। অভিযোগ উঠেছে, দীর্ঘদিন চাকুরি করার কারণে তিনি প্রভাব খাটিয়ে দুইবার নিয়োগ পেয়েছেন। শুধু তাই নয় মো. সহিদুল ইসলাম খানকে বর্তমানে প্রশাসনিক কর্মকর্তার চলতি দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তিনি নানা অনিয়ম ও ঘুষ-বাণিজ্য করে বনে গেছেন বিপুল অর্থবিত্তের মালিক।

ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৩ সালের ২০ মার্চ থেকে মো. সহিদুল ইসলাম খান সাঁট মুদ্রাক্ষরিক পদে সংস্থায় যোগদান করেন। তখন সংস্থার নাম ছিল ঔষধ প্রশাসন পরিদপ্তর। ২০১৪ সালের ১২ জানুয়ারি তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির ৬৯টি শূন্য পদে জনবল নিয়োগের জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। ওই বিজ্ঞপ্তিতে আবেদনে প্রার্থীদের জেলাকোটা ও প্রার্থীর বয়সসহ বেশকিছু শর্ত দেয়া হয়। তৃতীয় শ্রেণির ৫৪টি শুন্য পদে টাঙ্গাইল, ফেনী, নোয়াখালী, চাঁদপুর, কুমিল্লা, চুয়াডাঙ্গা ও বরগুনা জেলার প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন না। এই বিজ্ঞপ্তিতে সাঁট লিপিকার কাম কম্পিউটার অপারেটরের দুইটি শূন্য পদের উল্লেখ করা হয়। এ পদে নিয়োগ পেতে আবেদন করেন মো. সহিদুল ইসলাম খান। তিনি টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার কোলাহা গ্রামের মো. আব্দুল বাসেদ খানের পুত্র।

২০১৫ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সালের ১২ জানুয়ারি প্রকাশিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুসারে ৫৫ জনকে নিয়োগ দেয় ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। তালিকায় ৮ নম্বরে নিয়োগ পান মো. সহিদুল ইসলাম খান। সংস্থার তৎকালীন মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মোস্তাফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত নিয়োগ আদেশে বলা হয়, নিয়োগপ্রাপ্ত ৫৫ জনের মধ্যে পাঁচজন প্রার্থী মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নির্বাচিত হয়েছেন। নিয়োগপ্রাপ্ত ব্যক্তিগণ শিক্ষানবিস হিসেবে দুই বছর কর্মরত থাকবেন বলে শর্ত দেয়া হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মো. সহিদুল ইসলাম খান বলেন,‘ আমি ১৯৯৩ সাল থেকে এ প্রতিষ্ঠানে কর্মরত। ২০১৫ সালে আমার পদোন্নতি হয়েছে। আমি একই বিভাগে চাকুরি করি। এই নিয়োগ নিয়ম অনুয়ায়ী হয়েছে। নিয়োগ কমিটি জেলাকোটা যাচাইবাছাই করে যারা নতুন তাদের জন্য। আমি বিভাগীয় প্রার্থী। নতুন করে নিয়োগ নয় আমাকে পদোন্নতি দেয়া হয়েছে।

জানতে চাইলে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, ‘বিষয়টি অনেক আগের, তাই এ সংক্রান্ত তথ্য না দেখে বলা যাবে না।’