অন্তর কুমার রায়, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলায় একটি মন্দিরের প্রতিমা চুরি ও অন্য দুটি মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় দুই মাদ্রাসাছাত্রকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার (১৭ই মার্চ) সকালে উপজেলার মহারানি স্বর্ণময়ী সরোবরের কাছ থেকে তাঁদের আটক করা হয়। এরপর এ ঘটনায় হওয়া একটি মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। এরপর তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ শনিবার (১৮ই মার্চ) উলিপুর থানা–পুলিশের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
আটক ব্যক্তিদের মধ্যে একজনের নাম জান্নাতুল ফেরদৌস (১৯)। তাঁর বাড়ি কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ি উপজেলার তালুক শিমুলবাড়ি ফকিরপাড়া গ্রামে। অন্যজন তাঁর সহযোগী শিক্ষার্থী (১৫)। তার বাড়ি উলিপুর উপজেলার ধামশ্রেণি ইউনিয়নে। তাঁরা দুজন উলিপুরের একটি মাদ্রাসার শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, গত মঙ্গল ও বুধবার উলিপুর উপজেলার পৌর এলাকার যোদ্দারপাড়ায় অবস্থিত দুটি মন্দিরে ভাঙচুর ও খাওয়ারপাড় কেন্দ্রীয় শ্মশান কালীমন্দির থেকে একটি প্রতিমা চুরি করেন অভিযুক্তরা। পরে শ্মশান কালীমন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুদীপ্ত রায় থানায় লিখিত অভিযোগ করলে পুলিশ অভিযানে নামে। উলিপুর উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় সাঁড়াশি অভিযান শেষে গতকাল উপজেলার স্বর্ণময়ী সরোবরের কাছ থেকে দুজনকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তাঁরা প্রতিমা ভাঙচুর ও একটি প্রতিমা চুরির কথা স্বীকার করেন। তাঁদের দেওয়া তথ্য অনুসারে একটি ছোট কালীপ্রতিমা উদ্ধার করা হয়েছে। পরে গতকালই তাঁদের আদালতে সোপর্দ করা হয়
উলিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আশরাফুজ্জামান বলেন, পুলিশ অভিযান চালিয়ে গতকাল সকালে শহরের স্বর্ণময়ী সরোবর এলাকা থেকে দুজন মাদ্রাসাছাত্রকে আটক করে। পরে শৃঙ্খলাভঙ্গ ও অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টার অভিযোগে তাঁদের নামে মামলা দিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে এক আসামি অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তাকে সংশোধনাগারে পাঠানো হবে।