
বুধবার বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা গণ উন্নয়ন কেন্দ্র (জিইউকে) ও সাউথ এশিয়ান ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিষ্ট ফোরামের (এসএসিসিএফ) আয়োজনে জিইউকে’র নশরতপুরের প্রধান কার্যালয়ে মতবিনিময় সভায় সংশ্লিষ্ট বিষয়ে মূল বক্তব্য রাখেন পানি ও জলবায়ু বিজ্ঞানী ড. আইনুন নিশাত। অনুষ্ঠানে সাউথ এশিয়ান ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিষ্ট ফোরাম’র নির্বাহী পরিচালক কেরামত উল্লাহ বিপ্লবের সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাউথ এশিয়ান ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরাম’র সভাপতি আশীষ গুপ্ত (ভারত), গণ উন্নয়ন কেন্দ্রের নির্বাহী প্রধান এম. আব্দুস সালাম, লেখক ও গবেষক অধ্যাপক জহুরুল কাইয়ুম প্রমুখ। মতবিনিময়কালে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে নানা দিক তুলে ধরে প্রশ্ন করতে গিয়ে জেলার নদী ভাঙন, বন্যা, খরা ও অন্যান্য প্রাকৃতিক দূর্যোগের বিষয় তুলে ধরে নদী ভাঙন রোধে স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ সহ নদী তীরবর্তী বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ মজবুত করণের উপর গুরুত্ব দিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ মানুষদের পূণঃবাসন ও চরে উচু ভিটা তৈরি করে গৃহনির্মাণের কথা তুলে ধরেন সাংবাদিক গোবিন্দলাল দাস, কেএম রেজাউল হক, উত্তম কুমার, আবু বক্কর সিদ্দিক, আশরাফুল ইসলাম প্রমূখ ।
এ সময় ড. আইনুন নিশাত সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবদান কালে বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনে ১১টি বিষয় নিয়ে দেশে কাজ চলছে। যা সমাধান করলে জলবায়ুর প্রভাবে যে ক্ষতি হচ্ছে তা মোকাবেলা করা সম্ভব।
উল্লেখ্য, জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে মঙ্গলবার গণ উন্নয়ন কেন্দ্র ও সাউথ এশিয়ান ক্লাইমেট চেঞ্চ জার্নালিষ্ট ফোরাম’র আয়োজনে সদর উপজেলার কামারজানী ইউনিয়নের চরে অবস্থিত কুন্দেরপাড়া হাইস্কুল মাঠে গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রাণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান এমপি। ঐ শুনানীকালে জেলার তিন্ত, ব্রহ্মপুত্র ও যমুনার ১শ ৬৫টি দ্বীপ চর ছাড়াও লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রামের জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্থ মানুষেরা তাদের বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরেন।