অন্তর কুমার রায়, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে কুড়িয়ে পাওয়া পরিত্যক্ত মর্টারশেল বিস্ফোরণে বাবু মিয়া (৪০) নামের এক ব্যক্তির ডান পা বিচ্ছিন্ন হয়েছে এবং বাম পা ঝলসে গেছে । মঙ্গলবার (২১ মার্চ) রাত সাড়ে নয়টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের দেওয়ানের খামার এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে।
মাটি কাটতে গিয়ে কুড়িয়ে পাওয়া মর্টারশেলটি বাড়িতে কাটার চেষ্টা করলে তা বিস্ফোরিত হয়।আহত বাবু মিয়া দেওয়ানের খামার গ্রামের মৃত বাদশা মিয়ার ছেলে। পেশায় গাড়ির লেদ মিস্ত্রি। বর্তমান তিনি রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, মাটি কাটার কাজ করতো বাবুর মামা আব্দুল গফুর ওরফে গোদা একই গ্রামের ইউপি সদস্য সোহরাব আলীর বাড়ির পাশে কাজীর দীঘিতে মাটি কাটার সময় একটি ভারি লোহার বস্তু পায় আব্দুল গফুর। পরে সেটাকে গুপ্তধন ভেবে গোপনে এনে বাবুকে দেন তিনি। মঙ্গলবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে গফুর ও বাবু বাড়ির রান্না ঘরের দরজা বন্ধ করে রাইস কুকার এর লাইন থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে লোহা কাটার গ্রান্ডার মেশিন দিয়ে মর্টারশেলটি কেটে গুপ্তধন বের করতে গেলে সঙ্গে সঙ্গে সেটি বিকট শব্দের বিস্ফোরিত হয়। মর্টারশেলটি বিস্ফোরিত হয়ে রান্না ঘরের টিনের বেড়া ছিড়ে লোহার গেট ফুটো করে পার্র্শ্বতী ফিলিং ষ্টেশন এর বাউন্ডারি ওয়ালে গিয়ে আচঁড়ে পড়ে। এতে বাবুর ডান পায়ের গোড়ালিসহ হাঁটুর কাছাকাছি পর্যন্ত বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় অপর পা ঝলসে যায়। পরে পরিবারের লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে ভূরুঙ্গামারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যায়। এই ঘটনার পর থেকে বাবুর মামা আব্দুল গফুর পলাতক রয়েছে।
ধারণা করা হচ্ছে মর্টারশেলটি স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়ের।আর এই ঘটনা ধামাটাপা দিতে উক্ত আব্দুল গফুর মর্টার শেল বিষ্ফোরনের সকল আলামত সরিয়ে ফেলে গা ঢাকা দেয়।
ভূরুঙ্গামারী সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার মোর্শেদুল হাসান পিপিএম জানান , খবর পাওয়া মাত্রই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এটি পরিত্যক্ত মর্টারশেল ছিলো বলে ধারনা করা হচ্ছে । তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।