২৮ মার্চ খোলা বাজার অনলাইন ডেস্কঃ বাংলাদেশ দূতাবাস, সিউল-এর আয়োজনে সিউলে বিপুল উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষ্যে ২৬ মার্চ ২০২৩ তারিখ সকালে রাষ্ট্রদূত জনাব দেলওয়ার হোসেন দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও প্রবাসী বাংলাদেশীদের উপস্থিতিতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন এবং দূতাবাসে জাতির পিতার ভাস্কর্যে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন। এরপর জাতির পিতা ও মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত এবং দেশ ও জাতির উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি ও সার্বিক মঙ্গল কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।দূতাবাসের কর্মকর্তাবৃন্দ এ দিবস উপলক্ষ্যে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও মাননীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন।অনুষ্ঠানে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপর নির্মিত একটি প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়।অতঃপর মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-এর উপর আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
পরবর্তীতে ২৭ মার্চ ২০২৩ তারিখ সন্ধ্যায় সিউলের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত লট্টে হোটেল-এ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে এক জাঁকজমকপূর্ণ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে কোরিয়ার স্বনামধন্য ব্যবসায়ীবৃন্দ, উচ্চপদস্থ কোরিয়ান সরকারি কর্মকর্তাবৃন্দ, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবর্গ, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিবৃন্দ, নেতৃ স্থানীয় গণমাধ্যম সমূহের প্রতিনিধিবৃন্দ ও প্রবাসী বাংলাদেশীগণের উপস্থিতি ছিল উল্লেখযোগ্য। এছাড়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অন্যান্য দেশের রাষ্ট্রদূত ও কূটনৈতিক বৃন্দও উপস্থিত ছিলেন।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত জনাব মোঃ দেলওয়ার হোসেন বাংলাদেশের মহান স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে জাতির পিতা ও আত্মোৎসর্গকারী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবদানের কথা সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করেন। তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের চলমান উন্নয়ন অগ্রযাত্রা ও অর্জনসমূহ তুলে ধরেন। এছাড়া এ বছর বাংলাদেশ-দক্ষিণ কোরিয়ার কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর পূর্তিতে তিনি দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার সম্পর্ক তুলে ধরেন এবং এ সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় উন্নীতকরণে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশী ও কোরিয়ান শিল্পীদের পরিবেশিত নাচ, গান ও মূকাভিনয় অতিথিদেরকে আমোদিত করে। এছাড়া, মূল অনুষ্ঠানের পাশাপাশি উক্ত অনুষ্ঠানে দেশের পর্যটন, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক সম্ভাবনার উপর তথ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়।