Wed. Jun 4th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

সুনান বিন মাহাবুব, পটুয়াখালীঃ পটুয়াখালীর বাউফলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কর্তৃক মালিকানা জমি দখল করে গৃহহীনদের জন্য ঘর নির্মানের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় প্রতিকার চেয়ে আদালতে মামলা দায়ের এবং আদালত কর্তৃক অস্থায়ি নিষেধাজ্ঞা জারি করলেও নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী। বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) দুপুরে পটুয়াখালী জেলা প্রেসক্লাব কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত বক্তব্যে এ অভিযোগ করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আব্দুস সালাম দাবী করেন, ‘ভুক্তভোগী মোঃ আঃ কাদের মুন্সী (৯৯) পিতা- মৃত: আঃ লতিফ মুন্সী, আঃ রশিদ মৃধা (৬০) পিতা- মৃত: হামেদ আলী মৃধা, হাজী আবদুস সালাম (৫৫) পিতা- আঃ কাদের মুন্সী, মোঃ শহিদ মুন্সি (৪০) পিতা- কাদের মুন্সী, মোসাঃ হাছিনা বেগম (৫০), পিতা-আঃ কাদের মুন্সী সহ আরো ১৪ জন পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলার কাছিপাড়া ইউনিয়নের ছত্রকান্দা গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা। তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি স্থানীয় ছত্রকান্দা মৌজা জেল নং-০৬, এস.এ খতিয়ান নং ৫৯, দাগ নং- ৪৩২, জমি ৫৩ শতাংশ। একই মৌজায় ২৬২নং খতিয়ানের ৪৩২/৮৪৫ নং দাগের জমি ২০ শতাংশ জমির একুনে ৭৩ শতাংশ জমিরচৌহুদ্দি দেয়া আছে এবং এগুলো তাদের ভোগ দখলে রয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি সরকারের অবাসন প্রকল্প তৈরীর জন্য তাদের ব্যক্তিমালিকানধীন জমি দখল করে নির্মান কাজ শুরু করা হয়। ভোগ দখলী বসত বাড়ী পৈত্রিক সম্পত্তির রেইনট্রি, চাম্বুল, মেহগুনি সহ বিভিন্ন ফলজ ও বনজ গাছ-পালাকেটে বিক্রি করে দেয় উপজেলা প্রশাসন। যার আনুমানিক মূল্য পাঁচ লক্ষ টাকা। এই ঘটনায় গত ১৫ ফেব্রুয়ারী পটুয়াখালী আদালতে একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলা নং ৪০/২০২৩। আদালত মামলার অভিযোগের সত্যতা পেয়ে বাউফল সহকারী জজ আদালত সাত দিনের মধ্যে বিবাদীদের জবাব দেওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। কিন্তু বিবাদীরা বিজ্ঞ আদালতের আদেশ অমান্য করে তাদের পৈত্রিক সম্পত্তিতে প্রবেশ করে গাছ-পালা কেটে বিক্রি করলে পুনরায় গত ২ মার্চ আদালত অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আবেদন করলে আদালত অন্তবর্তী কালিন অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারী করে। তবে আদালতের নিষেধাজ্ঞা জারির পরও উপজেলা নির্বাহী অফিসার জোর পূর্বক নির্মান কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ভুক্তভোগী হাসিনা বেগম বলেন, ‘আমাদের পৈত্রিক জমি অবৈধ ভাবে আদালতের নির্দেশ অমান্য করে দখল করার প্রতিবাদ করায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার আমাকে অবৈধ ভাবে গ্রেফতার করে তিন মাসের সাজা দিয়ে জেল হাজতে প্রেরণ করে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত আঃ রশিদ মৃধা বলেন, ‘ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার নিজেও জানে যে জমির মালিক আমরা আর পাশের জমি সরকারী। এর পরও তারা আমাদের জমি দখল করে কাজ করছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাউফল উপজেলা নির্বাহী অফিসার আল-আমিন বলেন, আদালত যেই জমিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সেখানে আমরা কাজ করছি না। হাসিনা বেগমকে সাজা দেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে ইউএনও বলেন,‘ সরকারী কাজে বাঁধাদানের আপরাধে তাকে কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছিল।