
লিখিত অভিযোগে বলা হয়, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে নিজের মতো করে সব কিছু চালানোর চেষ্টা করেছেন, তিনি সদস্যদের সঙ্গে কোনো ধরনের সমন্বয় ও পরামর্শ ছাড়াই মনগড়া পরিষদ চালাচ্ছেন।
অভিযোগ উঠেছে যে, জনগণের কাছ থেকে আদায় কৃত ট্যাক্স, ট্রেড লাইসেন্সের টাকা কোন হিসাব নিকাশ না করে সচিব ও চেয়ারম্যান কারচুপি করে আত্নসাৎ করেন যাহা এখন পর্যন্ত কোন রেজুলেশনের মাধ্যমে ওয়ার্ড সদস্যদের অবগত করা হয় নি। এছাড়া ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরের মাতৃকালীন ভাতা সদস্যদের না জানিয়ে রেজুলেশন ছাড়াই ইউপি সচিব ও চেয়ারম্যান জমা দিয়েছেন।
চেয়ারম্যান এর বিরুদ্ধে আরো অভিযোগ উঠেছে যে, তিনি তার ক্ষমতা বলে বিগত দিনের উদ্যোগক্তাকে বাদ দিয়ে নতুন অযোগ্য ও অদক্ষ নিজস্ব একজন কে নিয়োগ দেন। নিজস্ব জনৈক লোক মোঃ আতিকুর রহমান কে নিয়োগ দেয়ার পর থেকেই সে হর-হামেশে সচিব সহ বিভিন্ন ব্যক্তির স্বাক্ষর জাল করে থাকেন। সে চেয়ারম্যান এর নিজস্ব লোক হওয়ায় ইউপি সদস্য সহ সাধারণ মানুষদের সাথে খারাপ আচরণ করা ও নানাবিধ অপরাধ মূলক ঘটনার সাথে জড়িত।
এছাড়াও ইউনিয়ন পরিষদের বরাদ্দকৃত হাট-বাজারের ১%, ১০% বরাদ্দ ইউপি সদস্যদের সাথে আলোচনা না করেই চেয়ারম্যান মহোদয় নিজের ইচ্ছামতো বণ্টন করে থাকেন।
ইউপি সচিবের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে, সচিব সাহেব চেয়ারম্যানের নানা ধরনের অনিয়ম ও দুর্নীতি তে একাত্ম হয়ে কাজ করেন। এমন কি গত ০৯/০৩/২০২৩ ইং অপরাহ্ন ৭:২০ ঘটিকা সময়ে ইউপি সচিব মিজানুর রহমান ইউনিয়ন উন্নয়ন সহায়তা তহবিলের বরাদ্দকৃত ৬,২১,২০০.০০/- (ছয় লক্ষ একুশ হাজার দুইশত) টাকার বরাদ্দ কাগজ কম্পিউটার থেকে ডাউনলোড করে প্যানেল চেয়ারম্যান কে স্বাক্ষর করতে বলেন, এতে প্যানেল চেয়ারম্যান ইউপি সদস্যদের সাথে আলোচনা না করে স্বাক্ষর করতে অপারগতা প্রকাশ করলে ইউপি সচিব চেয়ারম্যানের নিজস্ব ব্যক্তিগত লোক জনৈক মোঃ জহিরুল ইসলাম (সাদা) এর কাছ চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর জাল করে ইউএনও অফিসে জমা দেন।
ইউপি চেয়ারম্যান ও সচিব এর এমন অনৈতিক আচরণের প্রতিবাদে গত ১৬ এপ্রিল পরিষদের ১০ জন সদস্য এক সভার আয়োজন করে চেয়ারম্যান ও সচিব এর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনেন।
অনাস্থা প্রস্তাবকারী সদস্যরা হলেন- মোঃ মামুনুর রশিদ (প্যানেল চেয়ারম্যান), এ.টি.এম ফারুকুল ইসলাম, মোঃ আব্দুল আকন্দ, মোঃ বাদল মিয়া, মোঃ শহিদুল ইসলাম, মোঃ পলাশ মিয়া, মোঃ আনিছুর রহমান, মোঃ পুষ্প চন্দ্র দাস, মোছাঃ তাহেরা বেগম, মোছাঃ নাজমা বেগম।
ট্যাক্সের টাকা ও নিজস্ব লোক নিয়োগ প্রসঙ্গে ১৩ নং শ্রীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আজহারুল ইসলাম কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, টাকা তো থাকে ব্যাংন্কে তা হিসাব তো সচিব দিবে আমি তো তা দিতে পারবো না,তারা(সদস্যরা) সচিবের কাছে হিসেব নিতে পারে। নিজস্ব লোক নিয়োগ এর ব্যাপারে বলেন, আগের জনও তো আছে ওদের (সদস্যদের) সাথে, তবে এই জায়গায় আরেকজন আনা হয়েছে শুধু।
স্বাক্ষর জালিয়াতি করে টাকা তোলার ব্যাপারে ইউপি সচিব কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, চেয়ারম্যান সাহেব তখন ওমরা হজ্জে ছিলেন তাই ওনার স্বাক্ষর ই-মেইল করে নেয়া হয়েছে,, সচিব কে চেয়ারম্যান এর উদ্যোগক্তা নিয়োগ এর ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন,এটা সত্য যে চেয়ারম্যান সাহেব নিজস্ব লোক নিয়োগ দিয়েছেন,তবে আগের উদ্যোগক্তা কাজ করতেন না বলেই দিয়েছেন,এটা তো চেয়ারম্যানের ক্ষমতায় তিনি যখন যাকে ইচ্ছা নিয়োগ দিতে পারেন।।