
স্থানীয়রা জানান, শনিবার বিকালে ধাপাচিলা মাদ্রাসার পাশে এ সংঘর্ষ বাঁধে। এতে ভাতিজা জাহিদুল ইসলাম জমি-জমা সম্পর্কিত বিরোধের জের ধরে চাচা দুলাল মিয়ার উপর হামলা চালায়। ফলে উভয় পক্ষের মাঝে সংঘর্ষ আর তীব্র হয়ে ওঠে। সংঘর্ষে দুলাল মিয়া (৫১), তার স্ত্রী সেলিনা বেগম (৪১), ভাই দেলোয়ার হোসেন (৫৬), আব্দুল কুদ্দুস মিয়া (৫৪) ও হাসেন আলী (৫৯) আহত হন। তাদের মধ্যে হাসেন আলী ও সেলিনা বেগমসহ ৩ জনের অবস্থা গুরুতর। আহতরা সকলেই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এরপর দুলাল মিয়ার বসতবাড়ি ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।
অপরদিকে, জাহিদুল ইসলাম এর পক্ষের ২ জন আহত হয়েছেন। তবে তাদের নাম পরিচয় কেউই বলতে পারে না। সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন বীট পুলিশিংয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত এস.আই সাইদুর রহমান জানান, ঘটনার পর বিষয়টি জানতে পেয়েছি। দুলাল মিয়াসহ তার পক্ষে আহত ৫ জন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। জাহিদুল পক্ষের ২জন আহত হবার কথা শোনা গেলেও সুনির্দিষ্টভাবে জানা যায় নি। এ ব্যাপারে এস.আই রায়হানুল ইসলাম জানান, আগের মারামারি বিষয়ে দুলাল মিয়ার স্ত্রী সেলিনা বেগমের দায়েরকৃত একটি মামলায় তদন্ত এখনো অব্যাহত রয়েছে। মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে বিষয়টি জানতে পেয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আহতদেরকে দেখেছি। এখনও কোনও অভিযোগ পাইনি ।
থানা অফিসার ইনচার্জ কে.এম আজমিরুজ্জামান জানান, দু’পক্ষের পৃথক অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।