আব্দুল আউয়াল বানারীপাড়া বরিশাল প্রতিনিধিঃ বরিশালের বানারীপাড়ায় এসএসসি পরীক্ষা দেওয়া হচ্ছে না ব্যাটারীচালিত অটোবাইকের চাকায় আটকে ডান হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন হওয়া সেই মেধাবী ছাত্রী সাইমুনের (১৬)। এসএসসি পরীক্ষার মাত্র তিনদিন আগে ডান হাতের কব্জি হারিয়ে দরিদ্র সাইমুন সুচিকিৎসার অভাবে হাসপাতালের বিছানায় কাতরাচ্ছে। সাইমুন উপজেলার সৈয়দকাঠি ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের দিদিহার গ্রামের ছোট বটতলা এলাকার হতদরিদ্র সাইদুল সরদারের মেয়ে। সে সৈয়দকাঠি ইউনিয়ন নিম্ন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রী।আজ রবিবার (৩০ এপ্রিল) বাইশারী মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে তার এসএসসি পরীক্ষায় দেওয়ার কথা ছিল। গত বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) বিকালে ব্যাটারীচালিত অটোবাইকে খালা ঝুমুরকে নিয়ে সাইমুন দিদিহার থেকে আউয়ার হয়ে বাইশারী বাজারে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের কাছে যাচ্ছিল। পথে বাইশারী সৈয়দ বজলুল হক কলেজ সংলগ্ন বটতলা এলাকায় গেলে পায়ের কাছে একটি ফাঁকা স্থান দিয়ে সাইমুনের ওড়না ঢুকে মেশিনে প্যাঁচিয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে সে চলমান গাড়িতে হাত দিয়ে মেশিনে প্যাঁচানো ওড়না ছাড়াতে গেলে তার ডান হাত থেকে কব্জি বিচ্ছিন্ন হয়ে নিচে পড়ে যায়। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে উদ্ধার করে বানারীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইমার্জেন্সিতে ভর্তি করা হয়। এ সময় কর্তব্যরত ডাক্তার ডা. রোমান ইবনে রিফাত প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তার খণ্ডিত হাতের কব্জি আইচ ব্যাগিং পদ্ধতিতে প্যাকিং করে ঢাকায় রেফার করেন। ওই রাতেই রাজধানীর মোহাম্মদপুরের আল-মানার হাসপাতালে তার অস্ত্রপচার হয়। কিন্তু দুঃখের বিষয় তার হাতের কব্জি সংযুক্ত করা সম্ভব হয়নি। বিদেশে উন্নত চিকিৎসার জন্য যে খরচ লাগবে তা দেওয়ার সামর্থ্য হতদরিদ্র সাইমুনের বাবার না থাকায় তাদের পরিবারে নেমে এসেছে হতাশার কালো ছায়া। রাজধানীর আল-মানার হাসপাতালের চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করার সামর্থ্যও তার বাবার নেই। তাই তার বাবা সমাজের বিত্তবানদের কাছে সাহায্য কামনা করেছেন। ইতোমধ্যে গুরুতর আহত সাইমুনের চিকিৎসা সহায়তার জন্য বিভিন্ন ব্যক্তি, সামাজিক সংগঠন ও ফেসবুক গ্রুপ এগিয়ে এসেছে। সাইমুনের বাবা সাইদুল সরদারের মোবাইল নম্বর: 01750-791001