
শিক্ষার্থীকে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষনের অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে কলেজ শিক্ষার্থীর মা সাহানাজ বেগম বাদী হয়ে মোকাম বরিশাল বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে সেনা সদস্য মোঃ রবিন সিকদারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা নং- ১৪১/২৩ । জানা গেছে উপজেলার চাখার
ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের লিটন সিকদার’র ছেলে সেনা সদস্য রবিন সিকদার একই
বাড়ির মাসুদ সিকদার’র চাখার ফজলুল হক কলেজের এইচ এস সির ১ম বর্ষের শিক্ষার্থীর সাথে সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করে। দীর্ঘদিন যাবৎ ওই শিক্ষার্থীকে কলেজে যাতায়াতের সময় এবং মোবাইলে বারবার প্রেমের প্রস্তাব দেয়া সহ পথে ঘাটে বিরক্ত করে আসছিল সেনা সদস্য রবিন। রবিন সিকদার’র বারবার প্রস্তাব, বাড়াবাড়ি ও পথে ঘাটে বিরক্ত করার এক পর্যায়ে কলেজ শিক্ষার্থী রবিনের সাথে সম্পর্ক গড়তে বাধ্য হয়। বিষয়টি শিক্ষার্থীর পরিবার জানতে পেরে রবিনের পরিবারকে অবহিত করে এবং রবিনকে এ পথ থেকে ফিরে যেতে অনুরোধ করে অভিভাবকদের চোখের আড়ালে কলেজ শিক্ষার্থী ও রবিন তাদের
সম্পর্ক অব্যহত রাখে। তারই ধারাবাহিকতায় দুজনের মধ্যে সম্পর্ক গভীর হলে রবিন কলেজ শিক্ষার্থীর সাথে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করলে কলেজ শিক্ষার্থী বিয়ে ছাড়া রবিনের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলে রবিন বরিশাল নোটারীর মাধ্যমে বিয়ে করার দিন তারিখ ধার্য করে। ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী জানায় নোটারীর বিষয়ে আলাপ আলোচনার কথা বলে ২৬ মার্চ রাত সাড়ে ১২টার দিকে
তাকে বাড়ির বাহিরে বাদীর বাড়ির পিছনের বাগানে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষন করে।
পরর্বতীতে সু চতুর রবিন বিয়ের আশ্বাস অব্যহত রেখে বেশ কয়েকবার ভিকটিমের
সাথে শারিরীক সম্পর্ক করেছে। এক পর্যায়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী সামাজিক ও বাবা মায়ের সম্মানের দিকটি বিবেচনা করে রবিনকে বিয়ে করে কাবিন নামা সৃষ্টির জন্য চাপ দিলে সেনা সদস্য রবিন তার ক্ষমতার দাপট দেখায় এবং বিয়ে করবে না বলে প্রতারণার আশ্রয় নেয়। বিষয়টি পরিবার সহ এলাকার উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সাবেক চাখার ইউপি চেয়ারম্যান খিজির সরদার এর কাছে যান তিনি রাতভর বিষয়টি নিয়ে সমাধান করার চেষ্টা করেও সুফল হয়নি। এ সম্পর্কে তিনি বলেন আমার কাছে দুই পক্ষই আসছিল, আমি ছেলেমেয়ে দুজনকে আসতে বলি কিন্তু মেয়ে উপস্থিত হয় ছেলে আসেনি। তাই বিষয়টি সমাধান হয়নি।
এদিকে মেয়ের পরিবার নিরূপায় হয়ে ২৪ এপ্রিল বানারীপাড়া থানায় মামলা করতে গেলে থানা কর্তৃপক্ষ মামলা না নিয়ে বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়েরের পরামর্শ দেয়। সে মোতাবেক কলেজ শিক্ষার্থীর মা সাহানাজ বেগম বাদী হয়ে রবিনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ২০০০ এর সংশোধনী ২০০৩ এর ৯(১) ধারায় মামলা দায়ের করেন। এ বিষয় ওই শিক্ষার্থী জানায়, রবিন তাকে মৌখিক ভাবে স্ত্রীর স্বীকৃতি দিয়ে এখন অস্বীকার করছে। তিনি আরও জানায় রবিনর স্ত্রী হিসেবে গ্রহন না করলে আত্মহত্যা করব আমার সরলতার সুযোগ নিয়ে স্ত্রীর মত ব্যবহার করে এখন অস্বীকার করে। তাই আমি আইনের কাছে এ প্রতারণার সুষ্ঠু বিচার চাই তিনি আরো বলেন বর্তমানে
সেনা সদস্য রবিন কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টে সংযুক্ত রয়েছে। এদিকে সরেজমিনে ঘটনার বিষয়ে জানার জন্য ওই বাড়িতে গেলেসেনা সদস্য রবিনের ঘর তালাবদ্ধ থাকা এবং রবিনের মুঠোফোনে একাধিকবার কল
করা হলেও মোবাইল নম্বরটি বন্ধ থাকায় তার কোন বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।