Mon. Jun 2nd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

১৫ মে খোলা বাজার অনলাইন ডেস্ক : সাভার প্রতিনিধি: ৩ বছর আগের ৭৭ কোটি টাকার টেন্ডার চেয়ারম্যান এর চাঁদা দাবির কারনে কাজ বন্দ পালিয়েছে ঠিকাদা্র।

সাভার বনগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুলের চাঁদাবাজির কারনে বলিয়ারপুর থেকে বনগাঁও যাওয়ার প্রায় দশ কিলোমিটার রাস্তাটি সংস্কার হয় না দীর্ঘদিন। ঠিকাদার রাস্তাটির সংস্কারের কাজ শুরু করলে বনগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ঠিকাদারদের কাছে চাঁদা দাবী করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। রাস্তাটি সংস্কারের জন্য এলাকাবাসী বারবার প্রশাসনের শরণাপন্ন হলেও কোন কাজ হচ্ছেনা। রাস্তাটির সংস্কারের দাবিতে বহু বার গ্রামবাসী আন্দোলন করেছেন কিন্তু প্রশাসনের তরফে শুধু প্রতিশ্রুতি মিললেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। কয়েক মাস আগে গান্ধারিয়া থেকে বেড়াইদ পর্যন্ত রাস্তা সংস্কার কাজ শুরু হয়েছিল কিন্তু সেটিও এখন বন্ধ। এতে গ্রামবাসীর দুর্ভোগ আরও বেড়েছে। হওয়ায় বাকি রাস্তার অবস্থা আরো খারাপ।

রাস্তার বেহাল দশার কারনে সন্ধ্যার পর থেকে কোন গাড়ি চলে না। বেড়াইদ বিজ্র থেকে গান্ধারিয়া পযন্ত গাড়ি চলতে পারে না রাস্তার অবস্থা এতটাই বেহাল যে, সামান্য বৃষ্টিতেই রাস্তা দিয়ে হাটা পর্যন্ত যায়না। এলাকাবাসী বলেন কাজ ফের কবে শুরু হবে তা আমাদের জানা নেই। এই পথ দিয়ে সহজে গাড়িও চলে না। সড়কটির খানাখন্দে ভরা, আবার কোথাও উঁচু-নিচু হয়ে আছে। ভাঙ্গা রাস্তা এবং সংস্কারের উদ্যোগ না নেওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দাদের ভোগান্তির সীমা নেই।

প্রায়ই রিকশার চাকা গর্তে পড়ে অনেকেই আহত হওয়ার ঘটনা এখন এই এলাকায় নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার। রাস্তা বেহাল হওয়ায় এই জায়গায় প্রায়শই ছোট বড় দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানান রিকশা চালকরা। এলাকার বাসিন্দারা এই সড়ক দিয়েই সাধাপুর, কাজীপাড়া, চাকুলিয়া, নিকরাইলসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের হাজারো মানুষ প্রতিদিন এই রাস্তাদিয়ে যাতায়াত করে থাকে। এ ভাঙ্গাচোড়া রাস্তায় অসুস্থ কোন রোগীকে হাসপাতালে নেওয়াটাও মারাত্মক ঝুকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। একাধিক রিক্সা চালক বলেন, ভাঙ্গা সড়কে চলাচলের কারণে তাদের ব্যাটারিচালিত রিকসার অনেকটা ক্ষতি হয়। তাই খরচ বেশী লাগে। এছাড়া অনেক সময় রিকসা থেকে প্যাসেঞ্জার পড়েযায়। আমাদে রিক্সা চালাতে অনেক কষ্ট হয় তাই বাধ্য হয়ে ভাড়াও বেশী নেই।

ঢাকা জেলার সাভার থানার বনগাঁও ইউনিয়ন এলাকায় অনেক গুরুত্বপূর্ণ সরকারী অফিস, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, এনজিও এবং বাণিজ্যিক জোনের সন্নিকটে থাকায় ব্যবসায়িদের নিরাপত্তা বলয় সৃষ্টি হওয়ায় ব্যবসা বানজ্যিরে প্রাণ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এই এলাকায় ৫-৭ টি অটো রাইস মিল ও অসংখ্য ক্ষুদ্র ও স্থায়ী দোকান রয়েছে। স্থানীয় উদ্যোক্তাগণ অসংখ্য শিল্প, কল কারখানা তৈরি করে হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছেন।

কিন্তু বলিয়ারপুর মহল্লার বাসিন্দারাই রয়েছেন অবহেলিত। বিগত ১৫ বছরেও গেন্ডা সড়কের কোন সংস্কার কাজ করেনি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, মেম্বার। একই রকম অবস্থা গেন্ডা থেকে কাজীপাড়া পযর্ন্ত রাস্তার। নামা গেন্ডা হয়ে পুরানবাড়ী, সাধাপুর কাজীপাড়া চাকুলিয়া লোকজনের একমাত্র রাস্তা সাভার যাওযার জন্য। কিন্তু দীর্ঘ দিন ধরেই রাস্তা খারাপ হয়ে পড়ে রয়েছে।

২০০০ সালের পর আর কোনও রকম রাস্তা সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন। এ রকম খারাপ রাস্তা দিয়ে গাড়ির চালকেরাও ভয়ে ভয়ে গাড়ি চালান। প্রায়দিন এই রাস্তা দিয়ে যেতে গিয়ে গাড়ি খারাপ হয়ে যায়। সমস্যায় পড়ে স্কুল প়ড়ুয়া ও অফিস যাত্রীরাও। রাস্তা খারাপের জন্য সময় মতো গন্তব্যে পৌঁছনো যায় না।

এই এলাকা কৃষি প্রধান হওয়ায় গ্রামের কৃষকেরাও ফসল হাটে নিয়ে যান এই রাস্তা দিয়ে। রাতে ও দিনে মোটরসাইকেল নিয়ে যেতে গিয়ে এই ভাঙা রাস্তায় প্রায়শই ঘটে দুর্ঘটনা। রাস্তায় এমনই কাদা হয় যে গাড়ি রাস্তার ধারে বাড়ি হওয়ায় গাড়ি গেলেই বাড়িতে কাদা ছিটকে আসে বলে জানান এলাকার বাসিন্দারা। তাঁদের দাবি, অবিলম্বে রাস্তা সংস্কার করতে হবে। না হলে এই রাস্তার জন্য বাড়িতেও ঠিকমতো থাকা যাচ্ছে না। এলাকার সাধারণ মানুষের দাবি দ্রুত রাস্তার সংস্কার কাজ শেষ করে এলাকার স্কুল, কলেজের ছাত্রছাত্রীদের ও কৃষকদের উৎপাদিত ফসল বাজারজাত করতে সহায়ক হবে। তাতে দেশের মানুষ উপকৃত হবে।