১৭জুন খোলাবাজার অনলাইন ডেস্ক : ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই। বিগত বেশ কয়েকটি নির্বাচন প্রত্যক্ষ ভোটে না হলেও আসন্ন এফবিসিসিআই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হওয়ার আভাস পাওয়া যাচ্ছে। তবে নতুন করে ভোটার তালিকা তৈরি করা হয়েছে যেখানে ২৫০ জনের অধিক ভুয়া ভোটার অন্তর্ভুক্ত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ইতোমধ্যে ভোটার তালিকা নিয়ে সাধারণ ভোটারদের মাঝে অসন্তোষ বিরাজ করছে। সাধারণ ভোটারদের অভিযোগ টাকার বিনিময়ে এফবিসিসিআই এর কয়েকজন পরিচালক ও কর্মকর্তাদের যোগসাজশে ২৫০ জনের অধিক ভুয়া ভোটার তৈরি করে তাদের কাছ থেকে কয়েক কোটি টাকা বাণিজ্য করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি জানাজানি হলে সাধারণ ভোটাররা প্রশাসক নিয়োগ করে আসন্ন নির্বাচন পরিচালনা করার দাবী জানাচ্ছে। ইতোমধ্যে ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে যেখানে অনেক পুরাতন ভোটারকে জোর করে বাদ দেওয়ার বিষয়টি সামনে চলে এসেছে, এর ফলে বিনা কারণে ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া ব্যক্তিরা হাইকোর্টে মামলা করে সুবিচার পাওয়ার আশা করছেন। আগামীকাল ১৮ জুন বাদ পড়া ৩০ জন সাধারণ ও চেম্বার ভোটাররা আপিল করেছে । ইতোমধ্যে কয়েকজনের শুনানির তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।
৩ জুন নাম জমা দেওয়ার শেষ তারিখ থাকলেও ১১ জুন রবিবার বিকাল পর্যন্ত ভুয়া ভোটার বানানো হয়েছে। অনেক সংগঠনের সভাপতিকে ডেকে নাম পরিবর্তনের জন্য চাপ দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সভাপতির নিজের ভোট রেখে বাকী ৪ টি ভোটারের নাম দিতে বাধ্য করা হয়েছে। যেসব সভাপতি রাজি হচ্ছেন না তাদের টিও লাইসেন্স বাতিলের হুমকি দেওয়া হয়েছে।
ইতিমধ্যে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার ছেলে রাশেদুল হোসেন চৌধুরী রনির নেতৃত্বাধীন প্রাইভেট রেডিও ওনার্স এসোসিয়েশনসহ মোট ২০টি সংগঠনের লাইসেন্স এফবিসিসিআই এর সুপারিশে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে বাতিল করা হয়েছে। অথচ শতাধিক ভুয়া সংগঠন বহাল তবিয়তে ভোট বাণিজ্য করে যাচ্ছে। বিতর্কিত পরিচালক আবু মোতালেব আসন্ন নির্বাচনে এফবিসিসিআই আর্বিট্রেশন ট্রাইবুনালের বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তবে চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন সাবেক সভাপতি একে আজাদ। বিতর্কিত পরিচালক আবু মোতালেব ও ভুয়া ভোটারের কারণে স্বচ্ছব্যক্তি এ কে আজাদের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হতে পারে বলে মনে করেন সাধারণ ভোটাররা।
অনেকেই আবার এই অদক্ষ নির্বাচন বোর্ড বাতিল করে প্রশাসক নিয়োগের মাধ্যমে স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছেন। ইতিপূর্বে তিনবার ব্যবসায়ীদের মধ্য হতে প্রশাসক নিয়োগের নজীর রয়েছে।
যেহেতু বর্তমান সভাপতি জসিম উদ্দিনের মেয়াদ মে মাসের ১৯ তারিখে উত্তীর্ণ হয়েছে, তাই সাবেক সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন কে প্রশাসক নিয়োগ করে পরবর্তী ৬ মাসের মধ্যে স্বচ্ছ ভোটার তালিকা তৈরি করে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ বাণিজ্য সংগঠনের ভাবমূর্তি ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও বাণিজ্য মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
বাণিজ্য সংগঠনের মহাপরিচালক (ডিজি) মোঃ হাফিজুর রহমানের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে, তিনি জানান ভুয়া ভোটারের বিষয়ে অভিযোগ পেলে তিনি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবেন।