Thu. Apr 3rd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements
১০জুলাই খোলাবাজার অনলাইন ডেস্ক : বরিশাল পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি -১ রুপাতলীর ‘র জিএম প্রকৌঃ মোঃ হুমায়ুন কবীর । যোগদানের পর  থেকেই তার বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ।
সর্বশেষ অভিযোগের সাথে যুক্ত হয়েছে এক নারী কর্মকর্তাকে অকারনে গভীর রাতে ফোন কল ও কু প্রস্তাবের।এছাড়া জিএমের দুর্ব্যবহারে  গ্রাহক, কর্মকর্তা, কর্মচারীরা অতিষ্ঠ ।
জিএমের দুর্নীতির শিকার হয়েছেন গ্রাহকরা ও কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। জিএমের কথা না শুনলেই বদলীসহ বিভিন্নভাবে মানষিক হয়রানী নিত্যদিনের। রাত বিরাতে এক নারী কর্মকর্তাকে কু প্রস্তাব দিলে তিনি রাতে কল দিতে নিষেধ করেন। ঐ নারী কর্মকর্তাকে চাকুরী থেকে বরখাস্তেরও হুমকি দেয়া হয়। এভাবে একাধিক নারীকে গভীর রাতে মোবাইলে অফিসের  জরুরী কাজের নামে কল দিয়ে গল্প আলাপ শুরু করেন। এতে তারা বিরক্ত। কেউ কেউ বিরক্তি এড়াতে রাতে মোবাইল ফোন বন্ধ রাখছেন বলেও জানা গেছে।
২০২২ সালের ১৮ জুন যোগদানের পরই তিনি নিত্য নতুন নিয়ম চালু করেন। তার হুকুমই কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য আইন। জিএম হুমায়ুনের রোষানলে পরে অনেকেই তদবীর করে অনত্র চলে গেছেন। এজিএমরা মান সম্মানের দিক তাকিয়ে নিরবে তার মানষিক হয়রানী সহ্য করছেন।প্রতিবাদ করায় এজিএম মহিউদ্দিনকে বদলী করানো হয় চাঁদপুরে। মহিউদ্দিনের মত অনেক কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা বদলীর জন্য দিন গুনছে। এছাড়া জিএম হুমায়ুন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির গাড়ি ব্যবহার করছেন ব্যক্তিগত কাজে। সরকারি ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কোন আইন কানুন বিধিমালা বাস্তবায়ন না করে নিজ বানানো আইনে পরিচালিত করছেন বরিশাল পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি -১ রুপাতলী,বরিশাল। এছাড়া জিএম মোঃ হুমায়ুন কবির তিনি সব সময়ই পল্লী বিদ্যুতায়ন কোর্ডের চেয়ারম্যান ও নির্বাহী পরিচালকের নাম ভাঙ্গিয়ে একের পর এক অপকর্ম করে যাচ্ছেন। দম্ভোক্তি করে বলেন আমি আরইবির চেয়ারম্যান ও নির্বাহী পরিচালক আমার ঘনিষ্ঠ কেউ আমাকে চুলও ছিড়তে পারবেনা।
গোডাউনে রক্ষিত মালামাল তার নিজস্ব লোক দিয়ে বাইরে বিক্রি করে দেয়া,বিধি বহির্ভুত বিল ভাউচার করে অর্থ আত্মাসাতের অভিযোগ রয়েছে হুমায়ুনের বিরুদ্ধে। তিনি যোগদানের পরই গোডাউন থেকে বিদ্যুতের তার ও মালামাল  চুরি হয়েছে। সমিতির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানান, বিদ্যুতের তার চুরির সাথে জিএম সরাসরি জড়িত। তিনি বলেন কেউ প্রতিবাদ করেন না। প্রতিবাদ করলেই বদলীসহ মানষিক নির্যাতন ও বিবিন্নভাবে হয়রানী শুরু করে দেন। চাকুরীর ভয়ে সবাই নিরব। তার  অপকর্মের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে নারাজ। বিশ্বস্ত একটি সুত্র জানিয়েছে, হুমায়ুন কবির বিদ্যুতের নতুন সংযোগ প্রদান, মিটারপ্রাপ্তিসহ বিভিন্ন কাজে দালাল ছাড়া  কোনো কাজ করেন না। তার রুমে যাওয়া অনেক কঠিন।একজন পিয়নকে দাড় করিয়ে রাখেন। সমিতির জেনারেল ম্যানেজার হওয়ার সুবাদে লাল লাখ টাকা দালারদের মাধ্যমে হাতিয়ে নিচ্ছেন হুমায়ুন কবির। তার কর্মকান্ডে পল্লীবিদ্যুতায়ন বোর্ডের বরিশাল বিভাগীয় ও জেলা কর্মকর্তারা ক্ষুব্দ ও বিরক্ত।
জিএম মোঃ হুমায়ুন কবির ঘুষ ছাড়া কোন কাজই করেন না। অনুসন্ধানে তার বিরুদ্ধে উঠে এসেছে ঘুষের বর্ননা।
২০২৩-২৪  অর্থ বছরের জন্য তালিকাভু্ক্তি মিনি ঠিকাদার নবায়ন বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ঘুষের বিনিময়ে মিনি ঠিকাদার নবায়ন করেছেন। এসব মিনি ঠিকাদারদের জস্য যে সব শর্তআরোপ করা হয়েছে তার অধিকাংশই শর্ত পুরন করেননি তার পরেও ঘুষ দেয়ার কারনে নবায়ন হয়েছে।
অভিন্ন কম্পিউটারাইজড বিদ্যুৎ বিল ফর্ম সরবরাহের দরপত্র,পানির ট্যাংকি সরবরাহের দরপত্র,বাকেরগঞ্জ জোনাল অফিসের ইন্টারকম সিষ্টেম স্থাপন কাজ,সাবমেরিন ক্যাবলের খালি ষ্টিল ড্রাম দরপত্র,ষ্টেশনারী মালামাল সরবরাহের কোটেশন আহবান,ব্যবহার অযোগ্য ট্রান্সফরমারের প্যাকিং কাঠ দরপত্র,বাকেরগঞ্জ জোনাল অফিসের সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন,রাস্তা সংস্কার নির্মাণের কাজ,আউট সোসিং পদ্ধতিতে নিরাপত্তা প্রহরী নিয়োগসহ বিভিন্ন টেন্ডারে নয়ছয়ের মাধ্যমে ঘুষ নিয়ে একই ব্যক্তিকে কাজ দেয়ার অভিযোগ রয়েছে।
এ ব্যাপারে বরিশাল পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি -১ রুপাতলী,বরিশালের জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌশলী মোঃ হুমায়ুন কবির সাংবাদিকদের জানান, আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অসত্য। তিনি ব্যস্ততা দেখিয়ে কল কেটে দেন।