Fri. May 9th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements
১৮জুলাই খোলাবাজার অনলাইন ডেস্ক : হাসনাত তুহিন ফেনী প্রতিনিধিঃ ফেনীতে ১৮ তারিখ মঙ্গলবার আওয়ামী লীগ ও বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কর্মসূচির আলোকে ফেনীতে বিএনপির পদযাত্রায় পুলিশের সঙ্গে বি এন পি নেতাকর্মীদের সাথে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে গুলিবিদ্ধসহ পুলিশ,  বিএনপির নেতাকর্মী ও ৬ জন সাংবাদিকসহ দুইশতাধিক লোক আহত হয়েছেন। তার মধ্যে গুলিবিদ্ধ ২০ জন। এ মঙ্গলবার বিকালে ফেনী শহরের শহীদ শহীদুল্লাহ কায়সার  সড়কের ইসলামপুর রোডের মাথায় এ ঘটনা ঘটে।এ দিকে বিকাল ৫ টার সময় কিছু সন্ত্রাসী জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে ফেনী প্রেস ক্লাবে হামলা চালাই। এতে ফেনী প্রেস ক্লাবের দরজা জানালা ও আসবাবপত্র সহ সবকিছু ভাংচুর করে। প্রায় তিন লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন করে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবিতে ফেনী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শেখ ফরিদ বাহার ও সদস্য সচিব আলাল উদ্দিন আলালের নেতৃত্বে অন্তত ২০ হাজার নেতাকর্মী শহরের ট্রাংক রোড়স্থ দাউদপুর ব্রিজ সংলগ্ন স্থান থেকে পদযাত্রা শুরু করেন। পদযাত্রাটি দাউদপুল থেকে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হবার কথা থাকলে ও পুলিশ ট্রাংক রোডের খেজুর চত্বর পশ্চিম দিকে শহীদ শহীদুল্লাহ কায়সার দিকে ফিরিয়ে দেয়। পদযাত্রাটি ট্রাংক রোড প্রদক্ষিণ করে ইসলামপুর রোডের মাথায় পৌঁছালে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটলে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। এ সময় পুলিশের ওপর বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশের উপর অর্তকিতে  ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। তখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ অন্তত ২০-৩০ রাউন্ড গুলি ছোড়ে। এ সময় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের ৬ নেতা কর্মী গুলিবিদ্ধ ও পুলিশসহ অর্ধশতাধিক আহত হন। তবে এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত আহতদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
ফেনী জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আলাল উদ্দিন বলেন, পদযাত্রা নিয়ে ইসলামপুর এলাকায় যাওয়ার পর হঠাৎ আমাদের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে দুর্বৃত্তরা। এ সময় নেতাকর্মীরাও ক্ষেপে ওঠে। সংঘর্ষ বেঁধে যায়। এতে অসংখ্য নেতাকর্মী আহত হন।
ফেনীর পুলিশ সুপার জাকির হাসান বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ককটেল ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে বলে অভিযোগ প্রদান করেন  পুলিশ শান্তি শৃংখলা রক্ষায় ও নিজস্ব  নিরাপত্তার জন্য ফাঁকা গুলি ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এ সময় আমাদের কয়েকজন সদস্যও গুরুতর  আহত হয়েছে। অপরদিকে আওয়ামী লীগের উন্নয়ন ও শান্তি সমাবেশের বিক্ষোভ মিছিল বাঁশ পাড়া মোড়ে মিছিলের উপর বোমা নিক্ষেপ করে দুর্বৃত্তরা। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে ককলেট বিস্ফোরণ ও ইট পাটকেল নিক্ষেপের ফলে সমগ্র ট্রাংক রোড রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। তখন ছাত্রলীগ যুবলীগের বেশ কয়েক জন কর্মী আহত হয়।