Thu. Apr 3rd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

লাতিফুল সাফি- নিজস্ব প্রতিনিধিঃ গ্রাম বিকাশ কেন্দ্রের মাধ্যমে পিকেএসএফে‘র অর্থায়নে রংপুর তারাগঞ্জের ২০ জন নারী পেকিন হাঁস পালন করে সফলতা অর্জন করেছে। হাঁস পালনে গ্রাম বিকাশ কেন্দ্র হতদরিদ্র ক্ষুদ্র খামারি সদস্যকে পঞ্চাশটি করে পেকিন হাঁস প্রদানসহ স্বল্প খরচে চিকিৎসাকালিন ঔষধ ও বিনা মূল্যে ৫০ কেজি করে পোল্ট্রিফিড প্রদান করেন। এতে করে দরিদ্র খামারী হাঁস পালনে সফলতা ও আর্থিক ভাবে লাভবান হচ্ছে। বিনামূল্যে হাঁসের বাচ্চা ও খাদ্য পেয়ে খুশি সুবিধাভোগী পরিবারগুলো।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গ্রাম বিকাশ কেন্দ্র কর্তৃক সার্বিক সহায়তায় তারাগঞ্জের ১২৫টি দরিদ্র পরিবারকে “সমন্বিত কৃষি ইউনিট” থেকে প্রায় ১৫ ধরনের আর্থিক স্বাবলম্বীকরনে খামারি সেবা প্রদান করে আসছে।

ইচ্ছে শক্তি ও দৃঢ় মনোবল থাকলে যে কোনো ভালো কাজেই ঝাঁপিয়ে পড়া যায়। ফ্রী প্রশিক্ষন ও আর্থিক সহায়তার মাধ্যমে এভাবে পেকিন হাঁস পালনে অভাবের সংসারকে আলোকিত করা কঠিন কিছুই না। তারাগঞ্জের ২০ জন গৃহিণী এমন সফলতায়, আর্থিক ভাবে এখন স্বচ্ছল।

পেকিন হাঁস পালনে সফলতার গল্পে দিলপি রানী বলেন, বিশ্বের জনপ্রিয় ব্রয়লার টাইপ আমেরিকান জাতের পেকিন হাঁস ৮০-৯০ দিনে মধ্যে ২.৫-৩ কেজি পরিমান ওজন হয়। এ হাঁসের মাংস অধিক সুস্বাদু ও পুষ্টিগুণ সম্পন্ন। রোগ ব্যাধী কম হওয়ায় বাচ্চা পালনে মৃত্যু হার কম। পেকিন হাঁস পালনের জন্য ছোট আকারে খামার তৈরিতে আর্থিক ভাবেও সহযোগীতা করা হয় বলে তিনি জানান। তাদের এ সফলতা ধরে রাখতে লাভ্যাংশসহ হাঁস পালনে খামার বড় করার চেষ্টা করছে অনেকেই।

এব্যাপারে উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ফরহাদ নোমান বলেন, গ্রাম বিকাশ কেন্দ্রের সংশ্লিষ্ট সদস্যগণের দলীয় ভাবে প্রশিক্ষণ আয়োজন করলে আমাদের প্রানীসম্পদের ডাক্তারগণ গিয়ে গবাদি পশুপালনে সহায়ক পদ্ধতি ও প্রাথমিক চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয় পরামর্শ দেই। আমরা চাই দরিদ্র পরিবার গুলো আর্থিক ভাবে মুক্তি লাভ করক।

গ্রাম বিকাশ কেন্দ্রের শাখা ব্যবস্থাপক বলেন, গ্রাম বিকাশ কেন্দ্র তারাগঞ্জ শাখায় “সমন্বিত কৃষি ইউনিট” এর প্রাণীসম্পদ খাতের মাধ্যমে ১২৫ জন নারী সদস্যের মধ্যে ১১,৬৭,৫০০/= টাকার অনুদান প্রদান করা হয়।

এছাড়াও আমাদের নিজস্ব ডিভিএম ডাক্তারের মাধ্যমে ফ্রী চিকিৎসা সেবাও দেওয়া হয়। এ অঞ্চলের মানুষের জীবন মান উন্নয়নের জন্য গ্রাম বিকাশ কেন্দ্রের এই কার্যক্রম চলমান থাকবে। আমার বিশ্বাস তারাগঞ্জ অঞ্চলকে প্রাণিসম্পদ এর ইকোনমিক জোন হিসাবে গড়ে তুলতে পারবো ইনশাল্লাহ।