বৃহঃ. অক্টো ১০, ২০২৪
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খোলা বাজার অনলাইন ডেস্ক : ছাপা কালিতে আর বক্তৃতা বিবৃতিতে গণতন্ত্র দৃশ্যমান থাকলেও আদতে রাষ্ট্রে গণতন্ত্রের দাফন হয়ে আছে। ৫২ বছর আগে স্বাধীনতা অর্জন হলেও এদেশ এখনও পায়নি গণতান্ত্রিক মুক্তি। স্বাধীনতা পূর্বকালে বৃটিশ এবং পাকিস্তানীরা আমাদের শোষন করলেও স্বাধীনতা উত্তরকালে এদেশ ও জাতিকে শোষণ করছে স্বজাতীয়রাই। শুধুমাত্র মোড়কের পরিবর্তন হয়েছে, বৃটিশ থেকে পাকিস্তান, পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ! সময়ের ব্যবধানে ঐ একই আদলে নিপীড়িত হচ্ছে বাংলাদেশের সাধারন জনগন। এই জাতির দুর্ভাগ্য যে, গণতন্ত্রের খোলসে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দল ও জোট বাংলাদেশকে তাদের নিজস্ব স্বার্থে ব্যবহার করেছে, বিক্রিও করেছে। এই দলবাজ, জোটবাজদের স্বার্থের কাছে আজ গণতন্ত্র পরাজিত”! শনিবার আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাব সম্মুখে যুক্ত ফোরাম আয়োজিত মশাল ও মোমবাতি প্রজ্জ্বলন কর্মসূচিতে একথা বলেন গণ সংগঠক, রাষ্ট্রচিন্তক ও ফোরামের প্রধান সমন্বাকরী চাষী মামুন।

তিনি আরও বলেন, গণতন্ত্রের খোলসে চকচকে যা দেখা যায় তার ভেতরটা আসলে পুঁজে ঠাসা। রাষ্ট্রের পুরো শরীরটাই আজ ক্ষত বিক্ষত। প্রায় সর্বক্ষেত্রই জুলম, অবিচার, স্বেচ্ছাচারিতা আর দুর্নীতি গ্রাস করে ফেলেছে। গণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থা আজ মাফিয়াতন্ত্রে রূপ নিয়েছে। এদেশে রাজনীতির নামে এখন যা হচ্ছে তা কোন নীতির মধ্যেই পড়েনা।

রাজনৈতিক সম্প্রীতি, জাতীয় ঐক্য এবং সার্বজনিন গণতন্ত্রের প্রত্যাশায় আয়োজিত যুক্তফোরামের মশাল ও মোমবাতি প্রজ্জ্বলন অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে চাষী মামুন আরও বলেন, দেশের প্রচলিত রাজনৈতিক দলগুলো এখন মানুষের কথা ভাবে না। তাই গতানুগতিক এই ধারার বাইরে গিয়ে রাষ্ট্র সংস্কারের কোন বিকল্প নেই। সেজন্য আগামীতে একটি জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্র গঠনে জাতীয় সরকার গঠনই হলো মুক্তির উৎকৃষ্ট পথ। আর তা না হলে এজাতিকে চরম মূল্য দিতে হবে। অন্যদিকে বর্তমান ভূ-রাজনীতি বাংলাদেশকে একটি নতুন মেরুকরণের মধ্যে নিয়ে গেছে। যেকারণে বিশ্ব মোড়লদের চোখ এখন বাংলাদেশে। দেশে প্রকৃত রাজনীতি নেই; আছে চরম বিভেদ। এই বিভেদের ফাঁ-ফোঁকর দিয়ে প্রবেশ করছে বিদেশী আগ্রাসী শক্তি। এখনকার রাজনৈতিক বাস্তবতা জনগণের পক্ষে নয়। তাই মানুষ নতুন কিছু ভাবছে। সার্বিক পরিস্থতিতে জনগণকে ঘুরে দাঁড়িয়ে নতুনত্ব আনতে হবে। নতুন শক্তির অভ্যুত্থান ঘটাতে হবে।

যুক্তফোরাম সমন্বয়ক মো. জাকির হোসেন এর সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য প্রদান করেন মানবাধিকার সংগঠক ও সমাজকর্মী এসএম আমান উল্লাহ, লেখক-গবেষক শাহ নুরুজ্জামন, প্রগিতিশীল রাজনীতিক মো. ফিরোজ মো: লিটন জাতীয় মানবাধিকার সমিতির চেয়ারম্যান মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, এনডিএম এর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক লায়ন নুরুজ্জামান হীরা প্রমূখ।