সুনান বিন মাহাবুব, পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ রক্ষার্থে ২২ দিন ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। বুধবার মধ্যরাত থেকে ২২ দিনের জন্য নিষিদ্ধ ইলিশ ধরা। যা অব্যাহত থাকবে আগামী ২ নভেম্বর পর্যন্ত।
এদিকে নিষেধাজ্ঞার সময়ে পুনর্বাসনের জন্য প্রত্যেক জেলেকে ২৫ কেজি করে চাল দেওয়া হবে। এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন পটুয়াখালী জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে। বুধবার সন্ধার পর পটুয়াখালীর উপকূলীয় বিভিন্ন জেলে পল্লীতে দেখা গেছে, ঘাটে ভেড়ানো হচ্ছে জেলেদের নৌকা-ট্রলার। নিষেধাজ্ঞার আগে শেষবারের মতো জেলেরা নদীতে গিয়েছেন মাছ ধরতে। তবে তাদের ফিরতে হবে রাত ১২টার আগেই। কলাপাড়া এলাকার জেলে জসিম বলেন, মাছ ধরা বন্ধ হয়েছে, তাই নৌকা তীরে এনে রেখেছি।
পটুয়াখালী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম বলেন, ইলিশ অভিযান সফল হলে নদীতে ইলিশের উৎপাদন বেড়ে যাবে। তাই অভিযান সফল করতে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
এদিকে মাছ ধরা থেকে বিরত রাখতে সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালিয়েছেন পটুয়াখালী কোস্ট গার্ড। পটুয়াখালী বিসিজি বেইজ অগ্রযাত্রা(কোস্ট গার্ড প্রশিক্ষন কেন্দ্র) এর ক্যাপ্টেন শাহাজাহান সিরাজ জানিয়েছেন, মা ইলিশ রক্ষায় নৌ পথে শক্ত অবস্থানে রয়েছে কোষ্ট গার্ড। আমরা নিয়মিত নদীতে অভিযান চালাব। নিষিদ্ধ সময়ে ইলিশসহ কোনো মাছ যাতে কেউ ধরতে না পারে, সেজন্য সার্বক্ষণিক টহল থাকবে।
উল্লেখ্য, ইলিশের নির্বিঘ প্রজনন নিশ্চিত করতে ইলিশা, মনপুরা, ভেদুরিয়া, পটুয়াখালী, তেঁতুলিয়াসহ অন্যান্য ইলিশ বিচরণ অঞ্চল ২২ দিন মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকবে। কারণ নদীর এসব পয়েন্ট ইলিশের অন্যতম বিচরণ ক্ষেত্র।