খোলা বাজার অনলাইন ডেস্ক : আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে চলমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনে রাজপথের বিরোধী দল বিএনপির সঙ্গে সংলাপের সম্ভাবনা কার্যত উড়িয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ট্রাম্পের সঙ্গে বাইডেন ডায়ালগ করলে আমি বিএনপির সঙ্গে সংলাপ করব।
মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ৩টায় গণভবনে এ সংবাদ সম্মেলনে আসেন সরকারপ্রধান। সেখানে এক সাংবাদিক বিএনপির সঙ্গে সংলাপের বিষয়ে প্রশ্ন রাখেন।
সংলাপ কাদের সঙ্গে প্রশ্ন তুলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা আন্দোলনের নামে মানুষ খুন করছে, তাদের সঙ্গে? খুনিদের সঙ্গে কিসের সংলাপ?’
সকালে সিইসির সঙ্গে বৈঠকে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস রাজনৈতিক মতভেদ নিরসনে শর্তহীন সংলাপের আহ্বান জানান। ওই বৈঠক শেষে মার্কিন দূত সাংবাদিকদের নিজেই এ বিষয়ে ব্রিফ করেন। পরে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালও মার্কিন রাষ্ট্রদূত রাজনৈতিক সংলাপের পরামর্শ দিয়েছেন বলে সাংবাদিকদের জানান।
প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনে এক জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক বিষয়টি তুলে ধরে সংলাপ হওয়ার সম্ভাবনা আছে কি না প্রশ্ন রাখেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যারা খুনি, যারা মানুষ খুন করে তাদের সঙ্গে কোনো সংলাপ করা হবে না। দেশের মানুষও তাদের সঙ্গে সংলাপ চায় না। বিএনপির উদ্দেশ্য আগুন সন্ত্রাস করে দেশের নির্বাচন বন্ধ করে দেশের অস্বাভাবিক পরিস্থিতি সৃষ্টি করা। বিএনপি হলো একটা সন্ত্রাসী দল। তারা চায় তাদের শিক্ষা দেই, সেটা দেবো।’
‘বিএনপি যে একটা সন্ত্রাসী দল সেটা তারা আবারও প্রমাণ করলো। তাদেরকে কিন্তু কানাডার আদালতে সন্ত্রাসী দল হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে। ২৮ তারিখে যেভাবে পুলিশকে হত্যা করেছে, সাংবাদিকদের ওপর হামলা করছে এটা করে ক্ষমতায় আসতে পারবে না। এটার নিন্দা জানাই। এটা করার আগে কিন্তু দেশের মানুষ বিএনপিকে বিশ্বাস করতে শুরু করেছিল।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যেদিন দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বড় কর্ণফুলী টানেল উদ্বোধন করলাম সেদিন তারা শান্তিপূর্ণ সমাবেশের নামে কেন সাংবাদিক ও পুলিশের ওপর হামলা করলো? সাংবাদিকেরা তো তাদের বিষয় নিয়ে লেখে। সাংবাদিকরা কেন তাদের টার্গেট?’
‘বিএনপির মধ্যে কোনো মনুষ্যত্ববোধ নেই। আমরা যতোই ভালো ব্যবহার করি না কেন তাদের স্বভাব পরিবর্তন হবে না। বিএনপির উদ্দেশ্য হলো দেশের মধ্যে অস্বাভাবিক পরিস্থিতি সৃষ্টি করা। বিএনপি হলো একটা সন্ত্রাসী দল।’
বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরামে অংশ নেওয়ার অভিজ্ঞতা জানাতে প্রধানমন্ত্রীর এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সরকারের কয়েকজন মন্ত্রী এবং ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতা সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আছেন।
প্রতিবার বিদেশ সফর থেকে এলে গণমাধ্যমকর্মীদের সামনে আসেন সরকারপ্রধান। বরাবরের মতোই রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর এই সংবাদ সম্মেলন সরাসরি সম্প্রচার করা হচ্ছে।
সবশেষ গত ৬ অক্টোবর ভারতে জি টোয়েন্টি সম্মেলন এবং জাতিসংঘের ৭৮তম সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দেওয়ার অভিজ্ঞতা জানাতে সংবাদ সম্মেলনে আসেন প্রধানমন্ত্রী।