ভারত বাংলাদেশের মানুষকে গোলামির জিঞ্জিরে আবদ্ধ করতে চায়, কিন্তু সেই সুযোগ ভারত আর পাবে না। কারণ বাংলাদেশের জনগণ এখন সোচ্চার। আওয়ামী দুঃশাসন এবং ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে জাগ্রত জনতা আন্দোলন সংগ্রামের জন্য প্রস্তুত। ২০১৭ সালে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনাকে ভারত সহযোগিতা না করলে এবং এরশাদ হাসপাতাল থেকে তাকে সমর্থন না করলে সে অবৈধভাবে নির্বাচন করতে পারতো না। বাংলাদেশের মানুষের উপর হাসিনা কিভাবে স্টিম রোলার চালিয়েছে তার বড় প্রমাণ মহাসম্মানিত ও বিশ^ব্যক্তিত্ব নোবেলজয়ী প্রফেসর ইউনূসকে ৮৪ বছর বয়সেও কোর্টের ৬ তলায় উঠিয়েছেন এবং সীমাহীন কষ্ট দিয়েছেন। অথচ বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে তাঁর মত একজন বিশ^নন্দিত ব্যক্তি আর কেউ নেই। বর্তমান সরকারের বয়স মাত্র ২০ দিন। ১৬ বছরের যে জঞ্জাল সেটা এত অল্প সময়ে অপসারণ করা সম্ভব নয়। মাত্র নারকাটা হয়েছে। নারটা একটু শুকাতে দিন। তিনি আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ১৬ বছর আপনার কোথায় ছিলেন ? দাবি আদায়ের জন্য আপনাদের সময় দিতে হবে। একটু ধৈর্য্য ধরুন। অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস যেভাবে হাল ধরেছেন আমরা আশা করছি সবচেয়ে কম সময়ে তিনি আমাদেরকে সমস্ত বিপদ থেকে উদ্ধার করতে পারবেন এবং দেশের মর্যাদাকে আরো উচ্চতায় নিয়ে যেতে সক্ষম হবেন। দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করবেন না, চেষ্টা করলেও পারবেন না। আমাদের এখন এগিয়ে যাবার সময়। ইউনূসের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, দেশের ১৮ কোটি মানুষ আপনার পাশে আছে। আপনি নির্বিঘ্নে কাজ করে যান। প্রয়োজন পড়লে ১৮ কোটি মানুষই আবার আপনার জন্য রাস্তায় নামবে।
২৮ আগস্ট ২০২৪ইং রোজ বুধবার সকাল ১১.০০টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে প্রজন্ম একাডেমি’র উদ্যোগে দাবি-দাওয়ার নামে বিভিন্ন সংগঠনের ব্যানারে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সরকারকে অস্থিতিশীল করার প্রতিবাদে আয়োজিত অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিরোধী দলীয় চীফ হুইপ জয়নুল আবদীন ফারুক এসব কথা বলেন।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস এর ৭ দফা বাস্তবায়ন নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক ও দৈনিক খোলা বাজার পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক মো: জহিরুল ইসলাম কলিম বলেন, সকল ষড়যন্ত্রের জবাব গনতন্ত্রপ্রেমিক সাধারণ মানুষকে নিয়ে দেওয়া হবে। কেউ ষড়যন্ত্র করার চেস্টা করবেন না। দেশ গড়তে সরকারকে সহযোগিতা করুন। তিরি সরকারকে উদ্দেশ্যে করে বলেন, প্রশাসন ডেলে সাজাতে হবে, প্রশাসনের ভিতরে লুকিয়ে থাকা শেখ হাসিনার মদদপুষ্টরা চেয়ারে বসে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। এদের চেয়ারে রেখে শান্তিতে দেশকে সঠিক ভাবে গঠন করা অসম্ভব।
প্রজন্ম একাডেমি’র সভাপতি লেখক ও গবেষক কালাম ফয়েজী’র সভাপতিত্বে ও প্রজন্ম একাডেমি’র সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মোজাম্মেল হোসেন শাহীন’র পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জাগপা’র সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার লুৎফর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা নুর আহমেদ, বিএনপি’র নির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যাপক আলমগীর হোসেন, কৃষক দলের সহ সভাপতি ভিপি ইব্রাহিম, বাংলাদেশ যুব অর্থনীতিবিদ ফোরামের সাধারণ সম্পাদক এস.এম মিজানুর রহমান, বিশিষ্ট যুবনেতা মাকসুদ মালতিয়া, জাতীয় পার্টির নেতা নূরে আলম সিদ্দিক টিটু, প্রজন্ম একাডেমি’র অর্থ সম্পাদক আবু হায়দার, জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্মের সাধারণ সম্পাদক মো. ইব্রাহিম হোসেন, প্রজন্ম একাডেমির সদস্য হারুন অর রশীদ, মো. নবী হোসেন, শারমিন রিনা, মো. কবির হোসেন, খলিল মৃধা প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে জয়নুল আবদীন ফারুক বলেন, ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস দেখেন, খালেদা জিয়া ও তারেক জিয়া আজ মুক্ত। অথচ তিনি ভারতের একটি কারাগারে বন্দি। তিনি বলেন, হাসিনা আজ তুমি কোথায় ? খালেদা জিয়া আজ আমাদের মধ্যমনি। আর তুমি কারাগারে বন্দী। তুমি যদি মানুষকে স্বাধীনতা দিতে আজ তুমিও স্বাধীন থাকতে। তোমার পুত্র জয় ব্যাংক ডাকাত। সে ব্যাংকের ভল্ট থেকে টাকা তুলে নিয়েছে, ব্যাংক লুট করেছে। জনগণ এর বিচার চায়। আপনি সেই প্রধানমন্ত্রী যিনি আবু সাঈদের মতো একজন ছাত্রনেতাকে তার সামান্য দাবির জন্য বুকে গুলি করে হত্যা করেছেন। হত্যা করেছেন এদেশের ছাত্র-জনতাসহ হাজারো মানুষকে। আমাদের নেতা তারেক রহমান বলেছেন তিনি হাসিনার মতো চোরাইভাবে ক্ষমতায় আসবেন না। তিনি জনগণের ভোটে নির্বাচিত হবেন। তিনি বলেছেন আমি জনগণের কাছে তাদের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে চাই। আওয়ামী লীগের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, এই দলটিকে বিশ^াস করা যায় না। এরা পরদেশী দালাল, এরা মানুষের টাকাই শুধু লুট করে না, মানুষের জীবনও বিপন্ন করে তোলে। এদের কাছ থেকে যখন মানুষ মুক্তি পেয়েছে তখন আর এদের ছত্রছায়ায় আর যাবে না।
সভাপতির বক্তব্যে কালাম ফয়েজী ঘোষণা করেন আগামী ১০০ দিনের মধ্যে কোন আন্দোলন চলবে না। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়সহ সচিবালয়ের আশেপাশে কোন মিছিল, মিটিং, সমাবেশ করা যাবে না।