বৃহঃ. অক্টো ১০, ২০২৪
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

বন্দিবিনিময় চুক্তি অনুসারে শেখ হাসিনাকে ফেরত এনে তার বিচার করতে হবে। এটি ১৬ কোটি মানুষের দাবী। তিনি গত ১৬ বছরে নির্মমভাবে অসংখ্য মানুষকে হত্যা করেছেন এবং জনগণের আন্দোলনকে প্রতিহত করার জন্য নির্বিচারে গুলি ও গণহত্যা চালিয়েছেন, তার জন্য তাকে বিচারের আওতায় আনতেই হবে। তিনি প্রশ্ন তুলেন এখন পর্যন্ত ফজলে নূর তাপস সহ যারা হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করেছেন সেই শেখ পরিবারে সদস্যরা এখনো কোন গ্রেফতার হচ্ছে না ? এখনও তাদের কেন বিচারের আওতায় আনা হচ্ছে না ? তিনি প্রফেসর ইউনূসকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আমরা অন্তবর্তী সরকারকে সহযোগিতা করতে চাই। আপনি একজন মহাসম্মানিত ব্যক্তি, একজন সৎ ও প্রসিদ্ধ ব্যক্তি, আপনাকে সম্মান জানানোর বদলে তারা অসম্মান করেছে, বিচারের নামে আপনার মতো বয়স্ক ব্যক্তিকে ছয় তলায় আপ-ডাউন করেছে, আপনি কেন তাদের বিচারের আওতায় আনবেন না ? দেশে যারা দ্বিতীয় স্বাধীনতা এনেছে, যাদের রক্তে রাজপথ রঞ্জিত হয়েছে, তাদের অন্তরের দাবী হলো যারা হিন্দুস্তানে পালিয়ে গেছে এবং সেখানে বসে চক্রান্ত করতেছে তাদের অবশ্যই বিচার করতে হবে। তিনি বলেন আমরা আপনার সাথে আছি এবং আপনার সরকারের সাথে থাকবো। তবে যে বিষয়গুলি সংসদের মাধ্যমে সমাধান দরকার সেগুলো তাদের হাতে ছেড়ে দিতে হবে। সংস্কার দরকার তার সাথে দরকার জনগণের ভোটের ব্যবস্থা করা।

দেশনায়ক তারেক রহমানের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানির উপর নির্মম হামলা ও ক্রিড়া সম্পাদক শওকত আলী দিদারকে হত্যার প্রতিবাদে আয়োজিত সামাজিক সংগঠন ‘প্রতিবাদ’ এর সভাপতি ইব্রাহিম হোসাইন এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. নবী হোসেন’র পরিচালনায় অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপি’র যুগ্ম মহাসচিব খাইরুল কবির খোকন। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রজন্ম একাডেমি’র সভাপতি কালাম ফয়েজী, ড. মুহাম্মদ ইউনূস এর ৭ দফা বাস্তবায়ন নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক মোঃ জহিরুল ইসলঅম করিম, বাংলাদেশ যুব অর্থনীতিবিদ ফোরামের সাধারণ সম্পাদক এস.এম মিজানুর রহমান, প্রজন্ম একাডেমি’র সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মোজাম্মেল হোসেন শাহীন, অপরাজেয় বাংলাদেশ এর সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন সিরাজী, উন্মুক্ত গণতান্ত্রিক পরিষদের সভাপতি রমিজ উদ্দীন রুমি, কর্মজীবী দলের সাধারণ সম্পাদক আলতাফ হোসেন সরদার, প্রজন্ম একাডেমির কোষাধ্যক্ষ আবু হায়দার প্রমুখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে জয়নাল আবেদীন ফারুক আরো বলেন, আমরা তারেক রহমানের সঙ্গে একসাথেই জেলে ছিলাম। তিনি শারীরিকভাবে পরিপূর্ণ সুস্থ ছিলেন। তাকে রিমান্ডে নেওয়া হলো, ১ সপ্তাহ পর তাকে ফিরিয়ে আনা হলো স্ট্রেচারে করে। কি অপরাধ ছিল তার ? তিনি বলেন তারেক রহমানের সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে এবং তাকে দেশের মাটিতে সসম্মানে ফিরিয়ে আনতে হবে। তিনি প্রশ্ন তোলেন, আওয়ামী লীগে কি একজন মানুষও নেই, যিনি এই প্রেসক্লাবের সামনে দাঁড়িয়ে জাতির কাছে ক্ষমা চেয়ে নিজেদের দলের অবস্থান জানান দিতে পারেন। কিন্তু আমরা জানি তাদের সেই সত্য বলার সাহস নেই। তারা কিভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বলেন, আগে ভালো ছিলাম। এ কথা বলতে তাদের লজ্জা লাগে না ? আমার প্রশ্ন, দুষ্কৃতিকারীরা কিভাবে এখনো ক্ষমতায় আছেন ? একজন সচিব যিনি ৩৮ হাজার ভূয়া লোককে মুক্তিযোদ্ধা বানিয়েছেন, তিনি সেই ভদ্র মহিলা এখনো সচিব পদে কিভাবে আসীন থাকেন ? আওয়ামী লীগ সবসময় চক্রান্তে বিশ^াসী। শেখ মুজিব যা করেছেন তার মেয়েও একই পন্থা অনুসরণ করেছেন। দলটির মধ্যে সততার অভাব বলেই তার নেতাকর্মীরা চোরাগোপ্তা হামলা চালিয়ে অন্যায় অপকর্ম করে দেশকে অস্থিতিশীল করে যাচ্ছে। তাদের সেই চক্রান্ত ষড়যন্ত্র থেকে ফিরে আসতে হবে।