Wed. Feb 5th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

স্টাফ রিপোর্টার, মোঃ মাহাবুব আলম: নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যেরদ্রব্যের বাজারমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর ‘জনতার বাজার’ নামে ন্যায্যমূল্যের বাজার বসানোর উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা জেলা প্রশাসন।

শনিবার (১৮ জানুয়ারি) কামরাঙ্গীরচর মতবিনিময় সভায় এ তথ্য জানান ঢাকার জেলা প্রশাসক তানভীর আহমেদ। এই সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন মোঃ শরিফুল হক (সহকারী কমিশনার [ভূমি] ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট) লালবাগ রেজিস্ট্রার সার্কেল ঢাকা।মোঃ শাহাদাৎ হোসেন (ভূমি সহকারী কর্মকর্তা [ভারপ্রাপ্ত] শিবপুর ভূমি অফিস লালবাগ রাজস্ব সার্কেল,ঢাকা। আয়েশা সিদ্দিকা ঢাকা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা। ফাহমিনা আক্তার জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ঢাকা জেলা কর্মকর্তা।
মুশফিকুর সুলতানা মেট্রোপলিটন কৃষি অফিসার কামরাঙ্গীরচর।

এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এটি বিশেষ করে নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য বড় সহায়ক হবে। তবে পণ্যের সরবরাহ, বাজারের নিরাপত্তা ও পণ্যের পরিমাণ যেন বেশি হয়– এসব বিষয়ে নজর দেওয়ার তাগিদ দেন তারা।
সভায় তানভীর আহমেদ বলেন, ক্রেতাদের দীর্ঘদিনের অভিযোগ, কৃষকের কাছ থেকে ভোক্তা পর্যায়ে পণ্য আসা পর্যন্ত কয়েকটি হাত বদল হয়। তাতে পণ্যের দর কয়েক গুণ বাড়ে। মধ্যস্বত্বভোগীর এই দৌরাত্ম্য কমাতে এমন উদ্যোগ ভূমিকা রাখবে। মূলত সরাসরি কৃষক ও ভোক্তাদের সংযোগ স্থাপনের জন্য এই বিশেষ বাজার স্থাপন করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, এই বাজারের মাধ্যমে ন্যায্যমূল্যে খাদ্যপণ্য সরবরাহ নিশ্চিত করে বাজার নিয়ন্ত্রণ করা হবে। এতে সহায়তা করবে কৃষি বিভাগ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এ বাজার টেকসইভাবে পরিচালিত হবে এবং রাজধানীর মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় চাহিদা পূরণে বড় ভূমিকা রাখবে।

সভায় জানানো হয়, নিত্যপণ্যের বাজার এখন বেশ চড়া। অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় ক্রেতার নাগালের বাইরে চলে গেছে পণ্যমূল্য। কিছু অসৎ ব্যবসায়ীরা ইচ্ছামতো দাম বাড়িয়ে বিপুল টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। তাতে ভোক্তার ওপর বাড়ছে চাপ। দেখা দিয়েছে জনঅসন্তোষ। উৎপাদক ও আমদানিকারকের কাছ থেকে সরাসরি পণ্য এনে বিক্রি করলে এসব দৌরাত্ম্য দূর হবে। এ জন্য বিভিন্ন জেলায় এরই মধ্যে প্রশাসনের মাধ্যমে এ ধরনের বাজার বসানো হয়েছে। তা জনমনে ইতিবাচক সাড়া ফেলছে। এ কারণে আশপাশের বাজারেও পণ্যের দর কমতে শুরু করেছে। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই ঢাকায় বাজার বসানো হচ্ছে।

শুরুতে কামরাঙ্গীরচর সহ ঢাকার ছয় স্থানে বাজার বসলেও পর্যায়ক্রমে পরিসর বাড়বে। বাজার ব্যবস্থাপনার জন্য সরকারি জায়গায় অবকাঠামো নির্মাণ করে স্থানীয় উদ্যোক্তা, শিক্ষার্থী এবং বেকার যুবকদের সম্পৃক্ত করা হবে। শুধু খুচরা বিক্রির ব্যবস্থা থাকবে। পণ্য কেনার জন্য একটি নির্ধারিত মূল্য তালিকা অনুসরণ করা হবে। ক্রেতারা ডিজিটাল পদ্ধতিতে টাকা পরিশোধ করে একটি কোড পাবেন, যা দেখিয়ে পণ্য সংগ্রহ করতে পারবেন।

ঢাকার কামরাঙ্গীরচর, মোহাম্মদপুর, গুলশান, মিরপুর, বাড্ডা ও ডেমরা– এই ছয় স্থানে বাজার বসবে। পর্যায়ক্রমে বাড়বে বাজারের সংখ্যা।