এই নাম পরিবর্তনের পিছনে ‘জিয়ানগর’ নামের সাথে স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়া নামের মিল থাকায় কেবল মাত্র রাজনৈতিক বিদ্বেষ এবং হীনমন্যতা ব্যতিত আর কোন কারণ ছিল না বিগত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বৈরাচারী শাসন ব্যবস্থায় এলাকাবাসী ভিষন ক্ষুদ্ধ হয়েছিল কিন্তু প্রকাশ করতে পারে নাই।
জুলাই বিপ্লবে গত ৫ই আগষ্ট ২০২৪ এর ছাত্র জনতার রক্তাক্ত আত্মত্যাগে গণঅভ্যুথানের ফলে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটেছে এবং ছাত্র জনতার আশা আকাঙ্খার প্রতি ফলন হিসেবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়ে সুষ্ট সুন্দর ভাবে ‘দেশ পরিচালিত হচ্ছে।
ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের করে যাওয়া বিভিন্ন অপকর্ম ক্ষমতার অপব্যবহার এবং ত্রুটি সংশোধনের সুযোগ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সামনে রয়েছে এবং প্রধান উপদেষ্টা নোবেল বিজয়ী প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে বর্তমান সরকার নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে।
সময় এসেছে প্রখ্যত মুফাসসিরে কুরআন, কুরআনের পাখি আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর জন্মস্থান এবং আল্লামা সাঈদীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় প্রতিষ্ঠিত আমাদের হাজার হাজার মানুষের জন্মস্থান এই উপজেলার শ্রুতিকটু নাম ইন্দুরকানী পরিবর্তন করে মহান স্বাধীনতার মাসে স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নামে পূর্বতন নাম ‘জিয়ানগর’ প্রতিস্থাপনের।
কুরআনের পাখি আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী সাহেবের প্রচেষ্টায় প্রতিষ্ঠিত ও স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নামের সাথে মিলিয়ে পূর্বতন নাম জিয়ানগ করার জন্য জিয়ানগরবসী ইতিমধ্যে মানব বন্ধন, র্যালি, গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পালন করেছে।
উপজেলার এই নাম পরিবর্তনের বিষয়টি পিরোজপুর জেলার সকল পর্যায়ের জনগণের প্রাণের দাবীতে রূপান্তরিত হয়েছে। ছাত্রজনতা গণমানুষের আত্মত্যাগের উপর প্রতিষ্ঠিত দেশপ্রেমিক সরকার দেশের মানুষের ভালোবাসা, আবেগ, অনুভুতির এই প্রাণের দাবীতে পূরণ করবেন এটা স্থানীয় সকল পেশাজীবী, রাজনীতিবিদ এবং সাধারণ জনগণ দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে।
আল্লামা সাঈদী ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শামীম সাঈদী আশা করেন আগামী ২৬ মার্চের পূর্বেই পিরোজপুর জেলার ইন্দুরকানী উপজেলার নাম পরিবর্তন করে আগের নাম ‘জিয়ানগর’ পূণর্বহাল করবে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। স্থানীয় জনগণের পক্ষে জোড় দাবী জানাছে আল্লামা সাঈদী ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও পিরোজপুর-২ আসনের জামায়াত প্রার্থী শামীম সাঈদী ।