Thu. May 29th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

সুনামগঞ্জ অরুন চক্রবর্তী প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জ জেলায় এবারের অতিবৃষ্টি, ঝড়, পাহাড়ি ঢল এবং অকাল বন্যা না থাকায় বোরোর বা¤পার ফলন হয়েছে। বৈশাখ মাসজুড়ে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় হাসিমুখে কৃষকরা ধান কাটা, মাড়াই ও গোলায় তুলতে পেরেছেন। এ উপলক্ষে মঙ্গলবার বিকালে তাহিরপুর উপজেলার শনির হাওরে কৃষকদের নিয়ে ফসল কর্তন সমাপনী আনন্দ উৎসব হয়।
আনন্দ উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ড. ইলিয়াস মিয়া বলেছেন, আকস্মিক বন্যা ও পাহাড়ি ঢলের কারণে জেলার বোরো ফসল উত্তোলনে ঝুঁকিপূর্ণ থাকলেও সংশ্লিষ্ট সকলের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা এবং মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ কৃপায় হাওর অঞ্চলের বোরো ধান যথা সময়ে শতভাগ কর্তন স¤পন্ন করা সম্ভব হয়েছে।
তিনি বলেন, রবি মৌসুমে ২ লক্ষ ২৩ হাজার ৫০২ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ করে প্রায় ১৫ লক্ষ মেট্রিক টন ধান উৎপাদিত হয়েছে। এই বা¤পার ফলন শুধু মাত্র সুনামগঞ্জ জেলার কৃষকদের জন্য নয় বরং দেশের খাদ্য নিরাপত্তা এবং অর্থনীতির জন্যও সহায়ক হবে। তিনি বলেন, এ ধানের সঙ্গে কৃষক পরিবারের পুরো এক বছরের খাবার, সন্তানের লেখাপড়া, বিয়েশাদিসহ যাবতীয় ব্যয় জড়িত। তাই ধান গোলায় উঠলে কৃষক পরিবারে পুরো বছর আনন্দ থাকে। কোনো কারণে ধান না পেলে তাদের কষ্টের সীমা থাকে না। এবার কৃষকেরা ধান তুলত পেরে বেশ আনন্দিত হয়েছেন কৃষকরা।
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আবুল হাসেমের সভাপতিত্বে এবং উপজেলা সহকারী প্রোগ্রামার মো. ইমরান হোসেনের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সমর কুমার পাল, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ মোহাম্মদ ওমর ফারুক, জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মামুন হাওলাদার, জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা তোফায়েল আহমদ, জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য অ্যাড. শেরেনুর আলী, মো. আনিসুল হক, মো. কামরুজ্জামান কামরুল, তাহিরপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. জুনাব আলী, সাংবাদিক দেওয়ান গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী, বাবরুল হাসান বাবলু প্রমুখ। প্রসঙ্গত, এবার জেলার বিভিন্ন হাওরে ১৩ লাখ ৯৬ হাজার ৮০০ মেট্রিক টন বোরো ধানের উৎপাদন হয়েছে। জেলার ১৩৭টি ছোটÍবড় হাওরে ২ লাখ ২৩ হাজার ৫০২ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছিল। হাওরে ধান কাটা শেষ হয় ৩০ এপ্রিল ও নন হাওরে ৫ মে।