খোলা বাজার২৪ : শুক্রবার, ২৮ আগস্ট ২০১৫
দেশে প্রথমবারের মত ডিজিটাল প্রশ্নপত্রে শুক্রবার পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সরকারি প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় এবারই প্রথম এই ধরনের পরীক্ষার আয়োজন করা হয়েছে।
ডিজিটাল প্রশ্নপত্রের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এই ধরনের প্রশ্ন আগে ছাপানো হয় না। পরীক্ষা শুরুর দুই ঘণ্টা আগে জেলা প্রশাসকের কাছে এই প্রশ্ন ই-মেইলের মাধ্যমে পাঠানো হয়। পরে তা কম্পিউটার থেকে প্রিন্ট নিয়ে ফটোকপি মেশিনের সাহায্যে প্রয়োজনীয় সংখ্যক প্রশ্ন তৈরি করা হয়। উল্লেখ্য, প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে এটা একটি বিকল্প ও ডিজিটাল মাধ্যম।
গাজীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে জানা গেছে, ব্যতিক্রমধর্মী এই পরীক্ষা পদ্ধতি এবারই প্রথম বাংলাদেশে চালু হলো।
জানা গেছে, দেশের ১৭ জেলায় শুক্রবার প্রাথমিক শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ যারা নিয়োগ পেতে চান, তারাই এই পরীক্ষায় অংশ নেবেন। তাদের সংখ্যা দেড় লাখেরও বেশি।
সূত্র মতে, ডিজিটাল প্রশ্নপত্র হওয়ার কারণে এবারের পরীক্ষায় বিজি প্রেসের কোন রকম সংশ্লিষ্টতা নেই। উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে বিজি প্রেস থেকে প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার পর সরকার সতর্ক হয়ে যায় এবং প্রশ্নপত্র ফাঁসের কারণে বিব্রত হওয়া থেকে বাঁচতে সরকার ডিজিটাল প্রশ্নপত্রের দিকে ঝুঁকে।
এ বিষয় সম্পর্কে গাজীপুরের জেলা প্রশাসক এস এম আলম বলেন, এই প্রথম ১৭টি জেলায় একই সঙ্গে প্রশ্নপত্র প্রণয়ন ও পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
একটি সুন্দর এবং টেকসই প্রযুক্তি উদ্ভাবন করার জন্য তিনি সরকারকে ধন্যবাদ জানান।
কিভাবে প্রশ্ন ছাপানো হচ্ছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা বৃহস্পতিবার থেকে ফটোকপি মেশিনগুলো চেক করে রেখেছি এবং আমরা একটি গোপন কোড পেয়েছি, যার মাধ্যমে প্রশ্ন পত্রটি এসেছে। তিনি আরো বলেন, প্রশ্নটি ১টার দিকে পরীক্ষার হলে চলে যাবে এবং ৩টার দিকে পরীক্ষা শুরু হবে। তিনি বিশ্বাস করেন এবার প্রশ্ন ফাঁস হওয়ার কোন সুযোগ নেই।