ঠাকুরগাঁও, সোমবার, ৩১ আগস্ট ২০১৫ : ঠাকুরগাঁও বিআরটিএ অফিসে অনিয়ম ও অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ব্যাংকে জমাকৃত টাকা ছাড়াও যানবাহন রেজিষ্ট্রেশনকারিদের কাছে ঘুষ হিসেবে আদায় করা হচ্ছে অতিরিক্ত টাকা। এতে রেজিষ্ট্রেশন করতে আগ্রহীদের মাঝে সৃষ্টি হচ্ছে তীব্র ক্ষোভ। আর সপ্তাহে মাত্র ৩দিন অফিস খোলা রাখা আর লাইসেন্স ও রেজিষ্ট্রেশন দিতে কর্তৃপক্ষ বিলম্ব করায় গ্রাহকরা মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। ফলে রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। ঠাকুরগাঁও শহরের গ্রামীণ টেলিকম এ কর্মরত বিকাশ কুমার, হরিপুর উপজেলার মামুন অর রশিদ, রাণীশংকৈল উপজেলার পলকসহ বেশ কয়েকজন রেজিষ্ট্রেশন আগ্রহীরা জানান, জেলার একমাত্র বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) অফিস কর্তৃপক্ষকে ঘুষ না দিলে লাইসেন্স ও রেজিষ্ট্রেশন পাওয়া কঠিন। এছাড়াও বাড়তি টাকা দিয়ে পরিক্ষা ছাড়াই পাওয়া যায় ড্রাইভিং লাইসেন্স। আর ব্যাংকের টাকা জমা দেয়ার পরও ঘুষ না দিলে বিভিন্ন কাগজপত্রের ঘাটতি দেখিয়ে গ্রাহকের ফাইল জমা নেয়া হয় না। এমন অবস্থায় হয়রানীর পাশাপাশি অরিরিক্ত টাকা খোয়া যাচ্ছে সাধারণ গ্রাহকের। এছাড়া সপ্তাহে মাত্র ৩দিন রবি, সোম ও বৃহস্পতিবার খোলা থাকলেও বাকি ২দিন অফিসের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় চরম ভোগান্তির শিকার রেজিষ্ট্রেশন আগ্রহীরা। জেলা প্রশাসক কার্যালয় চত্বরের পিছনে অবস্থিত বিআরটিএ অফিস ঘুড়ে দেখা গেছে, ৭জনের মধ্যে মাত্র ৪জন কর্মকর্তা কর্মচারি দিয়েই চলছে অফিসের কার্যক্রম। বাকি ৩জন কর্মকর্তা, কর্মচারির পদ শূন্য থাকায় প্রতিদিনিই জমা থাকছে ফাইল। আর সরকারের নির্দেশে পুলিশি অভিযান বেড়ে যাওয়ায় বিআরটিএ অফিসে বাড়ছে মোটর ড্রাইভিং লাইসেন্স ও রেজিষ্ট্রেশন আগ্রহীদের সংখ্যাও। এ সুযোগে কর্মকর্তা, কর্মচারিদের যোগসাজশে অফিসের ভিতরে বহিরাগত লোক প্রবেশ করিয়ে দ্রæত রেজিষ্ট্রেশন ও লাইসেন্স দেয়া হবে এমন আশ্বাসে আদায় করা হচ্ছে ঘুষ। ছোট জেলা হিসেবে মটরসাইকেলের সংখ্যা বেশি থাকা, আর অন্যান্য যানবাহনের লাইসেন্সও হয় অনেক বেশি তাই দক্ষ ও স্বচ্ছ কর্মকর্তা, কর্মচারি ও শুণ্য জনবল পূরনে দ্রæত ব্যবস্থা নিবেন যোগাযোগ ও সেতু মন্ত্রণালয় এমন দাবি স্থানীয়দের। এ বিষয়ে জেলা (বিআরটিএ) সহকারি পরিচালক উথোয়াইনু চৌধুরী, ঘুষ নেয়ার কথা অস্বীকার করে তিনি জানান, সপ্তাহে ২দিন পঞ্চগড় জেলার অফিস করা আর জনবল ঘাটতির কারনে এ সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। তবে জনবল নিয়োগ হলেই তা কাটিয়ে উঠা সম্ভব হবে।