সোমবার, ৩১ আগস্ট ২০১৫
গ্রাহক পর্যায়ে গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়ানোকে ‘গণবিরোধী’ আখ্যা দিয়ে এই বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে নাগরিক সংগঠন সুশাসনের জন্য নাগরিক- সুজন।
সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনটি এই দাবি জানিয়েছে। এতে স্বাক্ষর করেছেন সুজন সভাপতি এম হাফিজউদ্দিন খান ও সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার।
উল্লেখ্য, গত ২৭ আগস্ট গণশুনানির ভিত্তিতে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম যথাক্রমে ২.৯৩ শতাংশ ও ২৬.২৯ শতাংশ বৃদ্ধির ঘোষণা দেয়। তবে সেচ ও লাইফ লাইন (৫০ ইউনিট পর্যন্ত ব্যবহারকারী) বিদ্যুতের মূল্য অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত ১ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর হবে বলেও জানিয়েছে বিইআরসি।
বিভিন্ন কারণ বিশ্লেষণ করে সরকারের এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছে সুজন। সংগঠনটি মনে করে, বিইআরসির গণশুনানি দাম বাড়ানোর পক্ষে কোনো যুক্তি খুঁজে পাওয়া যায়নি। এরপরও সরকারের এই সিদ্ধান্ত জনগণকে হতাশ করেছে। এটি অযৌক্তিক ও গণবিরোধী সিদ্ধান্ত।
সুজন মনে করছে, দাম বৃদ্ধি জনজীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়বে। গ্যাস খাতে কোনো ভর্তুকি নেই। গত পাঁচ বছরে পেট্রোবাংলা আয় করেছে ২০,০৮০ কোটি টাকা। এরপরও এক লাফে গ্যাস বার্নারে ২০০ টাকা বৃদ্ধি নিম্ন ও মধ্যবিত্ত মানুষের প্রতি নিদারুণ অবিচার।
সিএনজির দাম বেড়ে যাওয়ায় ভাড়া বাড়বে। গণপরিবহনে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। পরিবহন খাতে নৈরাজ্য নেমে আসতে পারে বলেও সতর্ক করেছে সুজন।
সংগঠনটি মনে করে, বারবার বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর কোনো যৌক্তিকতা নেই। বরং বিদ্যুৎ খাতে সিস্টেম লসের নামে যে চুরি ও দুর্নীতি আছে তা বন্ধে সরকারকে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া উচিত।
একই সঙ্গে গ্যাসের দাম বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে জ্বালানি তেলের দামের সমন্বয়ের দাবি জানিয়েছে সুজন। প্রতিষ্ঠানটি আশা করছে, জনকল্যাণমুখী রাষ্ট্র হিসেবে এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে সরকার জনমুখী সিদ্ধান্ত নিবে।