বুধবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০১৫
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্রে করে নগরীর বায়েজিদ থানার পলিটেকনিক এলাকার যুবলীগ ক্যাডার মেহেদী হাসান বাদলকে (৪০) গুলি করে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীরা।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে বায়োজিদ সাংবাদিক হাউজিং সোসাইটি এলাকায় তাকে গুলি করা হয়।
এরপর তাকে উদ্ধার করে আশংকাজনক অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হলে দায়িত্বরত চিকিৎসকরা তাকে রাত সোয়া ১১টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন বলে জানিয়েছেন চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির প্রধান এসআই জহিরুল ইসলাম।
চট্টগ্রাম নগর পুলিশের অতিরিক্তি উপ কমিশনার (উত্তর ) শেখ শরিফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত বলেন, ‘যুবলীগের দু’পক্ষের দ্বন্দ্বের জেরে মেহেদী হাসান বাদলকে প্রতিপক্ষের লোকজন খুন করেছে বলে শুনেছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
জানা যায়, চট্টগ্রামের মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিনের অনুসারী হিসেবে কাজ করতেন যুবলীগ ক্যাডার মেহেদী হাসান বাদল ও আব্দুল কুদ্দুস বাপ্পী। শেরশাহ-পলিটেকনিক এলাকার চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণে দু’জনেই একসাথে কাজ করতেন। সদ্য সমাপ্ত সিটি ইলেকশনে মেয়রের পক্ষে কাজ করা নিয়ে দু’জনের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। এসময় দু’পক্ষের মধ্যে সংঘাত হলে সহিংসতার মামলায় কিছুদিন কারাগারে থাকতে হয় বাদলকে। পরে হাজতবাস শেষে বাদল বেরিয়ে এসে এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিতে চাইলে তখন বাপ্পীর সাথে বাদলের বিরোধ সৃষ্টি হয়।
সেই বিরোধের রেশ ধরে মঙ্গলবার সকালে স্থানীয় একটি পোশাক কারাখানা থেকে উত্তোলনকৃত চাঁদার ভাগ নিয়ে শেরশাহ এলাকায় বাপ্পী ও বাদলের লোকজনের মধ্যে সংঘাত হয়। এই বিরোধের জেরে রাতে সাংবাদিক হাউজিং সোসাইটি এলাকায় বাদলের ওপর গুলি করে বাপ্পীর লোকজন। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসকরা বাদলকে মৃত ঘোষণা করেন।