Mon. May 5th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

59 বৃহস্পতিবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫
১০ দিনের মধ্যে শ্রম আইনের বিধিমালার গেজেট জারি করা হবে বলে জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক চুন্নু।

বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ক্রেতাদের সংগঠন ‘এ্যালায়েন্স ফর বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স সেফটি’র প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে বৈঠক শেষে প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত ও এ্যালায়েন্স ফর বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স সেফটির নির্বাহী পরিচালক জেমস এফ মরিয়ার্টি প্রতিনিধি দলে নেতৃত্ব দেন।

প্রতিমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ‘আমরা শ্রম আইনের বিধিমালা চূড়ান্ত করেছি। আগামী ১০ দিনের মধ্যে বিধিমালার গেজেট জারি হবে।’

২০০৬ সালে শ্রম আইন প্রণয়ন করা হলেও আইনটি বাস্তবায়নে সংশোধনী আনার পূর্ব পর্যন্ত সাড়ে ৭ বছরে কোনো বিধিমালা প্রণয়ন করা হয়নি। ২০১৩ সালের ১৫ জুলাই আইনটি সংশোধিত হওয়ার পর বিধিমালা প্রণয়নের বিষয়টি আলোচিত হয়।

শ্রম মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে, বিধিমালায় সাড়ে ৩০০ বিধি রয়েছে। বিধিমালায় শ্রমিকদের নিরাপত্তা, কাজের পরিবেশ, ট্রেড ইউনিয়ন ও সংগঠন করা, ভবনের নিরাপত্তাসহ শিল্পের সার্বিক বিষয় বিস্তারিত ব্যাখ্যা করা হয়েছে।

বিধিমালায় রফতানিমুখী শিল্পের রফতানির আয়ের শূন্য দশমিক ০৩ শতাংশ শ্রমিকদের কল্যাণে একটি তহবিলে রাখার বিধান রাখা হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে জিএসপি (জেনারেলাইজড সিস্টেম অব প্রিফারেন্স) সুবিধা স্থগিত হওয়ার পর ‘বাংলাদেশ শ্রম আইন (সংশোধিত) আইন, ২০১৩’ পাস হয়। জিএসপি সুবিধা ফিরে পেতে শ্রম আইন বাস্তবায়নে বিধিমালা প্রণয়ন জরুরি হয়ে পড়ে। সেই তাগিদ থেকেই সাড়ে সাত বছরে বিধিমালা প্রণয়ন করা না হলেও এবার জোরেশোরে উদ্যোগ নেওয়া হয়। তবে কিছুতেই বিধিমালাটি আলোর মুখ দেখছিল না।

সংশোধিত শ্রম আইনের বাস্তবায়ন বিধিমালা প্রণয়নে দুটি কমিটি গঠন করা হয় ২০১৩ সালের আগস্ট মাসে। মূল কমিটির প্রধান করা হয় শ্রম সচিব মিকাইল শিপারকে। উপসচিব মো. আমিনুল ইসলামের নেতৃত্বে রয়েছে পাঁচ সদস্যের উপকমিটি। বিধিমালার খসড়া তৈরি করতেই কমিটি অনেক সময় নেয়। বিধিমালার প্রাথমিক খসড়া তৈরি করার পর মালিক ও শ্রমিকপক্ষের মতামত নিয়ে সৃষ্টি হয় জটিলতা।

এ্যালায়েন্সের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘শ্রমিকদের নিরাপত্তা, ভবনের অগ্নি নিরাপত্তা নিয়ে কথা বলেছেন। আমরা আমাদের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা বলেছি। বলেছি আমাদের উদ্যোক্তারা বিপুল টাকা খরচ করে শ্রমিকদের নিরাপত্তার জন্য যন্ত্রপাতি আনছে। ক্রেতাদের পোশাকের দাম বাড়ানোর জন্য ও উদ্যোক্তাদের আর্থিক সহায়তা দিতে তাদের অনুরোধ করেছি।’

মুজিবুল হক বলেন, ‘যন্ত্রপাতি কেনার ক্ষেত্রে তারা স্বল্প সুদে ঋণ দেবে ও দাম বৃদ্ধির ক্ষেত্রে তারা স্টেপ নেবে বলে জানিয়েছেন।