
খোলা বাজার২৪, শুক্রবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৫ : ছেঁড়া জামা কাপড় পড়ে থাকা, গা থেকে দুর্গন্ধ বেরোনো দুই মহিলার শারীরিক পরীক্ষা করে চমকে ওঠেন চিকিৎসকেরা। সারা শরীরে কাটা ছেঁড়া তো আছেই। বাদ যায়নি জরায়ু, মূত্রনালীও। পুরোটাই যেন সংক্রমণের আখড়া! সৌদি কূটনীতিকের বাড়িতে ধর্ষিতা মা ও মেয়ের মেডিক্যাল রিপোর্ট দেখে চমকে উঠছেন তাবড় পুলিশকর্তারাও। খবর আনন্দবাজারের
মা ও মেয়ের ঘটনা সামনে আসার পর থেকেই ভারতজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। দেশের সীমানা পেরিয়ে তার রেষ গিয়ে পড়েছে নেপাল ও সৌদি আরবেও। সৌদি প্রশাসন অবশ্য এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুলিশি তৎপরতার বিরোধিতা করছে। ভারতের তরফ থেকে তদন্তে সহযোগিতা করার জন্য সৌদি প্রশাসনকে অনুরোধ করা হয়েছে। সঠিক পথে তদন্ত চালাতে চাপ দিয়েছে নেপালও।
চিকিৎসকেরা জানান, যে ভাবে তাঁদের উপরে শারীরিক আঘাত আনা হয়েছে তা স্বাভাবিক অবস্থায় আসতে কয়েক বছর লেগে যাবে। এমনকী তাঁদের সারা দেহেই ক্ষত রয়েছে। জরায়ুর দেওয়ালে জমাট বাধা রক্তের দাগ পরিষ্কার। যা থেকে স্পষ্ট, দীর্ঘ দিন ধরে বল পূর্বক নির্যাতন করা হয়েছে তাঁদের।
তাঁদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের পর তদন্তকারীরা জেনেছেন, শুধুমাত্র বলপ্রয়োগই করা হয়নি। সৌদি কূটনীতিকের অতিথিরা পর্ন ছবি দেখত এবং ছবির সমস্ত কৌশল প্রয়োগ করত নির্যাতিতাদের উপরে।
তাঁদের নখ থেকে শুরু করে জরায়ু, মূত্র এবং খাদ্যনালী থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। সে গুলি খতিয়ে দেখে পুলিশকে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট দেওয়া হবে বলে জানান চিকিৎসকেরা।