খোলা বাজার২৪ ॥ শুক্রবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৫
ফেনীর দাগনভূঞায় ধর্ষণের শিকার এক নারীর নগ্ন ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আজ শুক্রবার সংবাদ সম্মেলন করে ওই নারী দাগনভূঞা উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবদীন মামুনসহ তিনজনকে এর জন্য দায়ী করেন। তিনি এ ঘটনায় থানায় মামলাও করেছেন।
আজ জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে ওই নারী বলেন, ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বরে দাগনভূঞা উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান জয়নাল আবদীন মামুন, তাঁর ভাই সাইফউদ্দিন লিটু ও তাঁদের কয়েকজন সহযোগী তাঁকে ও তাঁর মেয়েকে ধর্ষণ করেন। ওই সময় অভিযুক্তরা তাঁর নগ্ন ছবি তুলে রাখেন। পরে তিনি অভিযুক্তদের আসামি করে থানায় মামলা করেন। কিন্তু এ ঘটনায় থানা জয়নাল আবদীনকে আসামি না করে সাক্ষী বানায়। এরপর অভিযুক্তরা বিভিন্ন সময়ে তাঁকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছিলেন।
ওই নারী অভিযোগ করেন, সর্বশেষ গত জানুয়ারি মাসে ভাইস চেয়ারম্যান জয়নাল আবদীন, তাঁর ভাই সাইফুদ্দিন ও জামালউদ্দিন নামে আরেক ব্যক্তি তাঁর নগ্ন ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে দেন। এ ঘটনা জানতে পেরে তিনি সোনাগাজী বাজারের একটি কম্পিউটারের দোকান থেকে ছবি সংগ্রহ করে গত ৫ মার্চ ফুলগাজী থানায় উপরোক্ত তিনজনকে আসামি করে একটি মামলা করেন। তিনি আরও অভিযোগ করেন, সর্বশেষ গত রমজান মাসেও অভিযুক্তরা তাঁর বাড়িতে গিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দেন। তিনি তাঁকে ও তাঁর পরিবারকে রক্ষা করতে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও সংশ্লিষ্টদের প্রতি আবেদন জানান।
এ প্রসঙ্গে ফেনীর পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আহসান উল হক , ওই নারী গত মার্চ মাসে জয়নাল আবদীনকে প্রধান আসামি করে পর্ণোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা করেছেন। তিনি শুরুতে মামলাটি তদন্ত করলেও বর্তমানে সিআইডি মামলাটি তদন্ত করছে। এ মামলার বিষয়ে কথা বলার জন্য সিআইডি ফেনীর পরিদর্শক নুরুল ইসলামের মুঠোফোনে যোগাযোগ করে তা বন্ধ পাওয়া গেছে। ভাইস চেয়ারম্যান জয়নাল আবদীন দেশের বাইরে থাকায় এ বিষয়ে তাঁর বক্তব্য নেওয়া যায়নি।
প্রাণনাশের হুমকি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে দাগনভূঞা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম উদ্দিন বলেন, ওই নারীকে হুমকি দেওয়ার বিষয়ে কেউ থানায় অভিযোগ করেননি। ফলে বিষয়টি তাঁর জানা নেই।