Mon. May 5th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খোলা বাজার২৪ ॥ শনিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৫
23সৌদি আরবের পবিত্র মক্কা নগরের হারাম শরিফে ক্রেন ভেঙে পড়ার ঘটনায় নিহত ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে ১০৭ জনে পৌঁছেছে। আহত হয়েছেন ২৩৮ জন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে ৪০ বাংলাদেশি রয়েছেন।

আজ শনিবার বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে জানানো হয়, মক্কার স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। বিশালাকারের ক্রেনটি নির্মাণকাজে ব্যবহৃত হচ্ছিল।

সৌদি আরবের বেসামরিক প্রতিরক্ষা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রচণ্ড ঝড় ও ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে মাগরিবের নামাজের আগে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
দুর্ঘটনার সময় হারাম শরিফ মুসল্লিতে পরিপূর্ণ ছিল। তাঁদের অধিকাংশই হজ পালনের উদ্দেশে বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে সমবেত হওয়া মুসল্লি বলে ধারণা করা হচ্ছে। পবিত্র হজ শুরুর অল্প কয়েক দিন আগে এ দুর্ঘটনা ঘটল।

বেসামরিক প্রতিরক্ষা কর্তৃপক্ষের প্রধান জেনারেল সুলেইমান আল-আমর বলেন, ‘হতাহত সবাইকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। দুর্ঘটনাস্থলে আর কোনো হতাহত ব্যক্তি নেই।’

এই কর্মকর্তার ভাষ্য, শক্তিশালী ঝড় ও ভারী বৃষ্টিতে গাছ উপড়ে পড়ায় ক্রেনটি আছড়ে পড়েছে।
গতকাল রাত সাড়ে ১২টায় সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মসিহ্ বলেন, দুর্ঘটনায় ৪০ জন বাংলাদেশি আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে তিনজনকে হাসপাতালে পাঠানোর পর প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। কেউ গুরুতর আহত হননি।
এ ঘটনায় হতাহত ব্যক্তিদের নাগরিকত্ব ও ক্ষয়ক্ষতির আনুষ্ঠানিক তথ্য এখন পর্যন্ত জানায়নি সৌদি কর্তৃপক্ষ। ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ ও নিরাপত্তা জোরদারের লক্ষ্যে তদন্ত শুরু হয়েছে।

দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থলে পড়ে থাকতে দেখা যায় বিশাল ক্রেনের অংশ।

প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য, হারাম শরিফের চতুর্থ তলায় আছড়ে পড়ে ক্রেনটি।

বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবিতে দেখা যায়, দুর্ঘটনার পর অনেকের রক্তাক্ত দেহ হারাম শরিফের মেঝেতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। কারও কারও দেহ চাপা পড়ে আছে ধ্বংসস্তূপের নিচে।
ইউটিউবে পোস্ট করা এক ছবিতে দুর্ঘটনার পর আতঙ্কিত মুসল্লিদের কাউকে কাউকে কান্না ও ইতস্তত ছোটাছুটি করতে দেখা যায়।
দুর্ঘটনার পরপরই উদ্ধার কার্যক্রম শুরু হয়।

গতকাল জুমার দিন হওয়ায় হারাম শরিফে মুসল্লিদের ভিড় স্বাভাবিকভাবেই অন্য দিনের তুলনায় বেশি ছিল। হজের উদ্দেশে বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে লাখো হাজিও এরই মধ্যে উপস্থিত হয়েছেন সেখানে।
অধিক সংখ্যক মুসল্লি যাতে পবিত্র হজ সম্পাদন করতে পারেন, এ জন্য হারাম শরিফ কমপ্লেক্সের আয়তন বৃদ্ধির পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কাজ চলছে। নির্মাণকাজের জন্য হারাম শরিফের চারপাশে অনেক ক্রেন বসানো হয়েছে।

গতকালের দুর্ঘটনার আগে ২০০৬ সালে হজের সময় প“লিত হয়ে শতাধিক হাজির মৃত্যু ঘটে।