খোলা বাজার২৪ ॥ বুধবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫
চাঞ্চল্যকর খবর! দাফনের ৭ বছর পর আবার বাড়িতে ফিরে এসেছে ছোট বুড়ি। এমন সংবাদের ছোট বুড়িকে দেখার জন্য বাড়িতে ভিড় করছে নারী-পুরুষ। তবে আসল ছোট বুড়ি, নাকি নকল বুড়ি তা নিয়ে নানা প্রশ্ন পরিবারের লোকজনের মধ্যে। ঘটনাটি ঘটেছে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ঘোড়শাল ইউনিয়নের শালকোপা গ্রামে। সরেজমিনে শালকোপা গ্রামে গিয়ে জানা যায়, শালকোপা গ্রামের মৃত মোহাম্মদ মোল্লার মেয়ে ছোট বুড়ি (৬০) মানুষিক রোগে আক্রান্ত হয়ে ১৯৯০ সালের দিকে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয়। দীর্ঘ ১৫ বছর তার কোন খোঁজ ছিল না। হঠাৎ ২০০৫ সালের দিকে পরিবারের লোকজন খবর পায় ছোট বুড়ি সদর উপজেলার ছয়াইল গ্রামে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এরপর পরিবারের লোকজন তাকে সেখান থেকে ধরে বাড়িতে আনে। এরপর পেরিয়ে যায় ৩ বছর। হঠাৎ একদিন ছোট বুড়ি মারা যায়। দাফন করা হয় বাড়ির পাশেই। এরপর সবাই নিশ্চিন্ত ছিল। ৭ বছর পর আবার গত ১০ সেপ্টেম্বর সকালে ছোট বুড়িকে সদর উপজেলার নারিকেলবাড়িয়া এলাকার মহিষাডাঙ্গা গ্রামে দেখা গেছে এমন খবর পেয়ে তার সেজো ভাই সদর উদ্দিন মোল্লাসহ অন্যরা সেখানে যায়। এবং দেখে তার বোনের মতোই চেহারার একটি মহিলা। এরপর তারা তাকে প্রশ্ন করে, তোমার বাড়ি, তোমার বাবার নাম, তোমার ভাইদের নাম কি? একে একে সে উত্তর দেয়। পরে তাকে আবার নিজ বাড়িতে আনে সদর উদ্দিন। এ ঘটনা জানাজানির পর এলাকার নারী-পুরুষ ছোট বুড়িকে দেখার জন্য ভিড় করছে তার বাড়িতে। ঐ গ্রামের মরিয়ম বেগম, আলেয়া খাতুন জানান, অনেকে ধারণা করছে ছোট বুড়ির আত্মা নিয়ে আবার বাড়িতে ফিরে এসেছে। ছোট বুড়ির ভাই সদর উদ্দিন মোল্লা জানান, আগে যখন তার বোন ভেবে ছোট বুড়িকে নিয়ে আসা হয়েছিল তার সাথে নিজ বোনের হুবহু মিল ছিল। তার বোনের মতো কান কাটা-নাক কাটা ছিল, যার প্রেক্ষিতে তাকে বাড়িতে আনা হয়েছিল। এক পর্যায়ে সে মারা যায়। আমরা তাকে বাড়ির পাশেই দাফন করি। কিন্তু ৭ বছর পর হঠাৎ করে আবার সে কোথা হতে আসল আমরা বুঝতে পারছি না। তিনি আরো জানান, বর্তমানে যে বোনটিকে পাওয়া গেছে সে মানুষিক রোগী হলেও আমাদের নাম, বাবার নাম বলতে পারে। কিন্তু আগে যাকে দাফন করা হয়েছে বুড়ি ভেবে সে কোন কথা বলতে পারতো না। এটা নিয়েই আমরা একটু চিন্তার মধ্যে আছি। ঘোড়শাল ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড মেম্বর জাহিদুল ইসলাম দুদু জানান, ঘটনাটি জানার পর এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। তবে বর্তমানে যে ছোট বুড়িকে পাওয়া গেছে আমার মনে হয় সেটিই আসল। আর যাকে আগে দাফন করা হয়েছিল সে হয়তো নকল ছিল।