খোলা বাজার২৪ ॥ বৃহস্পতিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫
একটি মন্ত্রণালয়ে শুধুমাত্র মন্ত্রী এবং সচিব যদি সৎ থাকেন তাহলেও অন্তত ওই মন্ত্রণালয়ের পঞ্চাশভাগ দুর্নীতি কমে যাবে। আমি সৎ মন্ত্রী এটা দাবি করতে পারি না। কারণ, আমার আত্মীয় স্বজন কিংবা চারপাশের লোকজনের ওপর আমার নিয়ন্ত্রণ নেই। এ থেকে বাঁচতে হলে আমাকে বলতে হবে, আমার যে আত্মীয় অনিয়ম করেন; তিনি আমার ক্ষতি করছেন। এটা স্পষ্টভাবে বলতে হবে।” বুধবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় আয়োজিত এক কর্মশালার সমাপনি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, “তদবিরের চাপে অনেক সময় সচিবালয় থেকে পালিয়ে যাই। অনেক গুরুত্বপূর্ণ লোকেরা তদবির করতে আসেন। অদ্ভুত আর উদ্ভট সব তদবির। হাইব্রিড সব পলিটিশিয়ান। বিলবোর্ডে বঙ্গবন্ধুর এক ছবির সঙ্গে ৩৭ টি ছবি। এদের জন্য রিয়েল পলিটিশিয়ানদের জায়গা পেতে হিমশিম খেতে হয়। এই হাইব্রিড শুধু রাজনীতিতে নয়। সাংবাদিকতায়ও আছে। মনে হয়, দেশ এখন হাইব্রিড নেতা আর সাংবাদিক তৈরির কারখানা হয়ে গেছে।এসব হাইব্রিড সাংবাদিক মোকাবেলায় প্রকৃত সাংবাদিকদের দায়িত্ব নিতে হবে।” মন্ত্রী বলেন, “একটি জাতীয় প্রেসক্লাব। সেখানেও দুই গ্রুপ। তাওতো এক জায়গায়। সিলেটে গেলে দেখা যাবে দুই জায়গায়। চারিদিকে দেয়াল আর দেয়াল। এ যেন মশারির মধ্যে মশারি।” বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের সহযোগিতায় জনপ্রশাসন ও গণমাধ্যম শীর্ষক কর্মশালার সমাপনিতে অন্যান্যের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর তথ্যবিষয়ক উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী বক্তৃতা করেন।