খোলা বাজার২৪ ॥ শুক্রবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫
বাংলদেশের জলসীমায় ভারতীয় জেলেদের দৌরাত্মে ভেস্তে যাচ্ছে সরকারে ইলিশ প্রজনন ও সংরক্ষণ প্রজনন। সরকারের নিষেধাজ্ঞা বাংলাদেশের জেলেরা মানলেও দুর্বল টহল ব্যবস্থায় মাছ নিয়ে যাচ্ছে ভারতীয় জেলেরা। আশ্বিনের ভরা পূর্ণিমাকে ধরা হয় ইলিশ প্রজননের সর্বো”চ মৌসুম। সে বিবেচনায় ২০০৩ সাল থেকে পূর্ণিমার আগে ও পরে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয় সরকারের পক্ষ থেকে। নোনাপানি থেকে নদীতে এসে ডিম ছাড়া এবং পরে সাগরে ফেরা। তাই ইলিশের পুরো যাত্রা পথে চাই অবাধ বিচরণ। তাই এবারো সর্বো”চ প্রজনন মৌসুমে বন্ধ থাকবে ইলিশ শিকার। মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আশরাফুল হক বলেন, ২৮শে সেপ্টেম্বর হচ্ছে পূর্ণিমার দিন। তাই পূর্ণিমার আগের ৩ দিন এবং পূর্ণিমার পরের ১১ দিন এবছর ইলিশ ধরা বন্ধের দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। জেলেদের অভিযোগ প্রতি বছর তারা নিষেধাজ্ঞা মানলেও ভারতীয় জেলেরা এই সুযোগ নিচ্ছে। বাংলাদেশের জলসীমা থেকে নির্বিচারে ইলিশ ধরে নেয় অনুপ্রবেশকারীরা। বাংলাদেশের জেলেরা বলেন, ভারতীয় জেলেরা এসে মাছ ধরে নিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু আমরা মাছ ধরতে পারছি না। আমাদের এলাকার সেনাবাহিনী, নৌ-বাহিনী ও কোস্টগার্ড এটা নিয়ে কোনো প্রতিবাদ করে না। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভবিষ্যতে এই মৎস্য সম্পদ রক্ষার্থে সরকার যদি উদ্যোগী না হয় তাহলে জেলেসহ এ মৎস্য সম্পদ রক্ষা করা কোনো ভাবেই সম্ভব হবে না। এ নিয়ে ব্যবসায়ীরা কয়েক দফা নালিশ জানিয়েছে কোস্টগার্ডের কাছে। তাই বিষয়টি ভাবিয়ে তুলেছে জলসীমারক্ষীদের। কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোন ডেপুটি কমান্ডডেন্ট জে এইচ এম ক্বামীল আলম বলেন, ভারতীয় অথবা অবৈধ যে কোনো ট্রলার প্রবেশ করে যদি মাছ ধরা হয় তাহলে আমরা এ ব্যাপারে সবসময়ই সক্রিয় আছে। নিষিদ্ধ সময়ে কেউ যদি মাছ আহরণ করতে আসে তাহলে অবশ্যই তাদেরকে আটক করা হবে এবং যথাযথ আইন প্রয়োকারী সংস্থার কাছে হস্তান্তর করা হবে। ৯ অক্টোবর পর্যন্ত ইলিশ ধরা বন্ধ রাখতে অতীতের মতো এবারও জেলেদের খাদ্য সহায়তার ঘোষণা দিয়েছে মৎস্য অধিদপ্তর।