খোলা বাজার২৪ ॥ মঙ্গলবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৫
ইউরোপে আসা আশ্রয়প্রত্যার্শী মানুষজনের কোথায় জায়গা মিলবে, কতজনের আশ্রয় মিলবে আর কোন দেশ কতজনকে নেবে- সেসব নিয়ে এখন ইউরোপের দেশগুলো বিভক্ত হয়ে পড়েছে।
গত দু’দিন ধরে ইউরোপের নানা দেশের রাষ্ট্রদূতরা জোর আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে এখনও পর্যন্ত কোন সমঝোতায় পৌঁছাতে পারেননি তারা।
হাঙ্গেরি, পোল্যান্ড, স্লোভাকিয়া আর চেক প্রজাতন্ত্র বাধ্যতামূলক কোটা ব্যবস্থার বিরোধিতা করছে। অষ্ট্রিয়া ও ক্রোয়েশিয়া শরণার্থীদের শুরুতে স্বাগত জানালেও এখন তারাও মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।
এই পরিস্থিতি সম্পর্কে সার্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইভিচা দাখিচ বলেছেন, ‘পুরো ইউরোপের ওপর যেন এক লোহার পর্দা জেঁকে বসেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইউরোপের হওয়ার কথা সীমানাবিহীন এক মুক্ত অঞ্চল। কিন্তু তার বদলে সদস্য রাষ্ট্রগুলো একে অপরের সঙ্গে সীমানা বন্ধ করে দিচ্ছে।’
বলা হচ্ছে, এক লাখ ৬০ হাজারের মতো শরণার্থীকে জায়গা দেয়া হতে পারে। কিন্তু ইউরোপে প্রতিদিন কয়েক হাজার করে নতুন আশ্রয়প্রার্থী আসছেন। তাদের বেশিরভাগই আসছেন সিরিয়া, লিবিয়া, ইরাক, আফগানিস্তান এবং ইরিত্রিয়া থেকে।
ইউরোপের ২২টি দেশের জন্য বাধ্যতামূলকভাবে তাদের আশ্রয় দেয়ার সংখ্যা বেঁধে দেওয়ার যে কথা বলা হচ্ছে তাতে ফ্রান্স বা জার্মানির মতো বড় দেশগুলো সায় দিচ্ছে। তবে অনেক দেশের বিরোধিতার মুখে এখন সংখ্যাগরিষ্ঠের ভোটে বিষয়টির সমাধান হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
যারা শরণার্থীদের নিতে চাইবে না তাদের জন্য অর্থনৈতিক শাস্তির বিষয়েও আলাপ হচ্ছে। সবকিছু মিলিয়ে ইউরোপের একতা এখন প্রশ্নের সম্মুখীন বলে মনে করছেন অনেকে।