খোলা বাজার২৪ ॥ শনিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫
পশু জবাই করতে কেউ এলোনা কসাই খানায়। ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন বিশেষ ব্যবস্থায় ৫ শতাধিক কসাইখানা তৈরী করেছিল। প্রত্যেক কাসাই খানায় রাখা হয়েছিল কসাই। টানানো হয়েছিল ত্রিপল। প্র¯‘ত রাখা হয়েছিল পরিচ্ছনাতা কর্মি। এর ব্যবস্থাপনায় সিটি কর্পোরেশনের প্রায় ১০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। কিন্তু কোরবানি করতে বিশেষ কসাইখানায় কেউ এলোনা।
ঢাকা দক্ষিণের সেগুন বাগিচায় রিপোর্টার্স ইউনিটি সংলগ্ন স্থানে একটি কসাই খানা করা হয়েছিল। উদ্দেশ্য ছিল আশে পাশের ফ্লাটের লোকজন এখানে কোরবানি দিবে। কিন্তু ফ্লাটের লোকজন নিজেরাই ফ্লাটের সামনে সামিয়ানা টাঙ্গিয়ে কোরবানি দিয়েছে। মাত্র ৫০ গজ দূরে ছিল সিটি কর্পোরেশনের কসাই খানাটি। সরেজমিনে দেখা যায়, এই কসাই খানায় সিটি কর্পোরেশনের লোকজন ছিল। কসাইও প্র¯‘ত ছিল। কিন্তু কেউ যখন এলোনা। তারা চলে যায়। আশে পাশের ফ্ল্যাট বাড়ির পশু কাটতে। এ বিষয়ে একজন কাসাই জানান, লোক না এলে বসে থেকে লাভ কী। তারচেয়ে অন্য জায়গায় কাজ করলে কিছু টাকা পয়সা পাওয়া যাবে। ঢাকা উত্তরের ইস্কাটনের কসাই খানায়ও দেখা গেল একই চিত্র। লোকাজন বাসার সামনে সামিয়ানা টাঙ্গিয়ে পশু জবাই করছে। আর সিটি কর্পোরেশনের বিশেষ কসাই খানায় একটিও পশু নেই।
কেন সিটি কর্পোরেশনের কসাই খানায় কেন কোরবানি করলেন না এ বিষয়ে ইস্কাটনের একজন কোরবানিদাতা জানান,এ্যাপার্টমেন্টের সবাই মিলে কোরবানি দেই। বাসার দারোয়ান, কাজের লোক সবাই মাংস বাসায় নিতে সাহায্য করে। সিটি কর্পোরেশনের কসাইখানায় যদি গরু নিয়ে যাই তবে মাংস কে বাসায় নিয়ে আসবে। আর গরু রাখার জন্য আগে থেকেই সামিয়ানা টানোনো হয়েছে। সুতরাং সামিয়ানার নীচে কোরবানি দিলে কোন সমস্যা নেই। পরিস্কার করার জন্য বাসার দারোয়ান বা অন্যরাও রয়েছে। সরেজমিন ঢাকার বেশ কয়েকটি কসাই খানায় ঘুরে দেখা যায়, কসাইখানার মাত্র ১০০ গজদূরে নিজেদের উদ্যোগে পশু কোরবানি দিচ্ছে লোকজন। মাদ্রাসার ছাত্ররা দলবেধে কোরবানি দিয়ে যাচ্ছে। ভাড়া করা কসাইরা কেটে দিচেছ মাংশ। ভাগবাটোয়ারাও তারাই করছে। শুধু প্রুতি রাখলেও রক্তপাত নেই। কোরবানির জন্য দড়ি চাকু, পানি সব প্রস্তুত।