খোলা বাজার২৪ ॥ বৃহস্পতিবার, ০১ অক্টোবর ২০১৫
কলসিতে পানি পান করছে চিতা। তার পরের দৃশ্যটি কেমন হবে, কল্পনা করুন তো। কল্পনায় বিভিন্ন চিত্র ফুটে উঠতে পারে। কিন্তু সত্যিটা হলো- মুখে আটকে যাওয়া কলসি নিয়ে বড্ড অসহায় হয়ে এদিক সেদিক হাঁটতে থাকে চিতা বাঘটি। এমন ঘটনা যেমন বিরল, তার চেয়ে আশ্চর্য হলো হিংস্র, খিপ্র চিতাও বেকায়দায় পড়লে বিড়ালের মতো আচরণ করে।
কথায় বলে ‘ফাঁন্দে পড়িয়া বগা কান্দে রে’। এক্ষেত্রে বলতে হয় ‘ৃ চিতা কান্দে রে।’ অসহায়ত্ব বোঝাতে এমন প্রবাদ ব্যবহার করা হলেও চিতার মুখে কলসি আটকে যাওয়ার ঘটনার পেছনে রয়েছে কঠিন বাস্তবতা।
ভারতের রাজস্থান মরুময় প্রদেশ। খরা ও মরুময়তার কারণে পানির অভাব লেগেই থাকে। পানির এই অভাবের শিকার বন্যপ্রাণীরাও। যার জ্বলন্ত প্রমাণ এই চিতা বাঘের মুখে কলসি আটকে যাওয়া।
রাজস্থানের রাজসামান্দ জেলার সাদুলখেরা গ্রামে একটি বাড়ির পাশে পানি পান করতে চলে আসে চিতা বাঘটি। ধারণা করা হচ্ছে, পাশের কুম্ভলগড় অভয়ারণ্য থেকে লোকালয়ে একটি বাড়িতে ঢুকে পড়ে এটি।
এরপর একটি পানির কলসি দেখতে পেয়ে তাতে মাথা ঢুকিয়ে পান করতে শুরু করে। এক পর্যায়ে তার মাথা কলসির বেশি ভিতরে ঢুকে আটকে যায়। কোনোভাবেই সে তার মাথা বের করতে পারছিল না কলসি থেকে।
এদিকে চিতা বাঘের এই অবস্থা দেখতে পেয়ে লোকজন জড়ো হয়। কিন্তু পাছে কাঁমড়ে, হেঁচড়ে দেয় কি না, এ ভয়ে কেউ কাছে আসেনি। বিষয়টি স্থানীয়রা ভিডিও করে। যা পরে গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওতে আরো দেখা যায়, কিছু প্রাণী চিতাটিকে ওই অবস্থায় দেখে ভয় পেয়ে পিছু হটছে।
তবে শেষ পর্যন্ত এই অসহায় অবস্থা থেকে চিতাটিকে উদ্ধার করেন বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কর্মকর্তারা। ট্রাঙ্কুইলাইজার দিয়ে সেটিকে ঘুম পাড়িয়ে তার মাথা থেকে কলসি খোলা হয়। পরে সেটিকে কুম্ভলগড় অভয়ারণ্যে ছেড়ে দেওয়া হয়।